Tuesday, August 31, 2021

অরণ্যে চরম খাদ্য সঙ্কটে বিলুপ্তপ্রায় ম্যাকক বানর

অরণ্যে চরম খাদ্য সঙ্কটে বিলুপ্তপ্রায় ম্যাকক বানর


পশু বসুন্ধরা, 01/09/2021 : ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতে রীতিমত অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় ম্যাকক (সিংহের মত লেজযুক্ত) বানরের দল। একটু খাবারের জন্যে তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে পর্যটকদের জন্যে।

কর্নাটকের শিবমগ্গা অঞ্চলে রেন ফরেস্টে বসবাস করে ম্যাকক প্রজাতির বানর (Lion tailed macaque)।  এরা স্থানীয় গাছের ছায়ায় থাকতে ভালবাসে। কিন্তু দিনকেদিন অরণ্যের পরিধি এবং স্থানীয় গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই প্রজাতির বানর চরম বিপদে পড়েছে। অরণ্যের মধ্যে তারা একেবারেই খাবার পাচ্ছে না। তাই অরণ্যের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রাস্তাগুলিতে তাদেরকে ভীড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এই এলাকায় রাস্তায় বেশ কিছু হেয়ার পিন বেন্ড রয়েছে। সেখানে গাড়িগুলির গতিবেগ কমে যায়। পর্যটকেরা কিছু খাবার ছুঁড়ে দিলে সেই খাবার খেয়েই পেট ভরাতে হয় ঐ বানরদের। 


শিবমগ্গার অরণ্যে পশুদের এমন করুন অবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন পরিবেশবীদরা। এই প্রজাতির বানর এমনিতেই বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছে। অরণ্যের পরিধি ছোট হতে শুরু করায় খাদ্যের ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে। যে স্থানীয় গাছের ছাওয়ায় এই প্রজাতির বানর  বসবাস করতে ভালবাসে, সেই ধরনের গাছ ব্যাপক হারে কেটে নেওয়া হয়েছে। পরিবার্তে সরকার বাবলা ও অন্যান্য গাছ সেখানে লাগিয়েছে। 

তাছাড়া এই প্রজাতির বানর খুব বেশি হিংস্র নয়, বরং একটু লাজুক প্রকৃতির। তবে বর্তমানে এরা চরম বিপদে দিন কাটাচ্ছে। পেট ভরানোর জন্যে পর্যটকদের ছুঁড়ে দেওয়া চিপসএর প্যাকেটের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তার ওপর রাজ্য সরকার ঐ এলাকায় পর্যটকদের গাড়ি না থামানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বানরদের জন্যে পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারে নি। তাই চরম খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে ম্যাকক বানররা।

Tuesday, August 17, 2021

বাড়িতে পোষ্য নিয়ে এলে দায় দায়িত্ব বুঝে নিন

বাড়িতে পোষ্য নিয়ে এলে দায় দায়িত্ব বুঝে নিন


পশু বসুন্ধরা, 18/08/2021 : বাড়িতে পোষ্য আনতে পারলে সকলেরই ভাল লাগে। পরিবারে পোষ্যের উপস্থিতি মন ভাল রাখে। কিন্তু পোষ্যকে শুধু পরিবারের মাঝে আনলেই চলবে না। নিতে হবে যথাযথ দায় দায়িত্ব। তাকে প্রথম দিন থেকেই পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে প্রাধান্য দিতে হবে। তবেই পোষ্যটির উপস্থিতি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

কি কি ধরনের দায় দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে ?

প্রথমত, প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় তাকে দিতে হবে।আজকের দিনে মানুষ অনেক বেশি কর্মব্যস্ত। অনেকেই মোবাইল ফোনে দিনের অনেকটা সময় কাটান। আপনার পোষ্য কিন্তু আপনার সঙ্গ চাইবেই। কারন সে আপনাকে নি:স্বার্থ ভালবাসে। তাই উচিত হবে দিনের কোনো একতা সময় আপনার পোষ্যকে দেওয়া। তার সাথে সময় কাটানো, তার সাথে খেলা করা। বাড়ির কোনো একটি বিশেষ প্রান্তে তাকে নিয়ে চলে যেতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, আপনাকে নজর দিতে হবে যাতে ছোট থেকেই আপনার পোষ্য ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তার জন্য যেমন সুষম খাদ্যের ডায়েট দরকার, তেমন দরকার তার ব্যায়াম। দৌড় ঝাঁপ, লাফালাফি ইত্যাদির মাধ্যমেই তার ব্যায়াম করা হয়ে যায়। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে তার ব্যায়াম প্রতিদিন হচ্ছে কিনা। এর পাশাপাশি তার সুষম খাদ্য বা ডায়েটের দিকেও নজর রাখতে হবে। এই বিষয়টা সম্পর্কে একজন পশু চিকিত্সকের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করাই উচিত হবে। পোষ্যের নিয়মিত ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য ওষুধপত্র দিতে হবে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ।


তৃতীয়ত, আপনার পোষ্য আপনাকে 100% বিশ্বাস করে যে আপনি তার পুরো নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেছেন। আপনার পোষ্যকে নিরাপদ জায়গায় রাখুন, যাতে সে নিরাপদ থাকে। তার ধারে কাছে এমন কিছু জিনিস রাখবেন না, যা থেকে তার ক্ষতি হতে পারে। এমন কিছু বিষাক্ত দ্রব্যও রাখবেন না যা সে খেয়ে ফেলতে পারে।

চতুর্থত, আপনার পোষ্যকে এমন শাসন করবেন না যা তার মনোবল নষ্ট করে দিতে পারে। আপনার পোষ্যকে এমনভাবে বকাবকি করতে পারেন, যাতে সে তার দশ বা ভুল বুঝতে পারে। অযথা তাকে প্রহার করবেন না বা কঠোর শাস্তি দেবেন না। আপনার পোষ্য আপনার সঙ্গ চায়, তাই তাকে একা একা বারান্দা বা ছাদে বেঁধে রেখে দেবেন না বেশিক্ষনের জন্যে।

পঞ্চমত:, সাধারণত কুকুরদের ক্ষেত্রে 3 থেকে 5 মাসের মধ্যেই ট্রেনিং দেওয়া হয়। আপনার পোষ্যকে অবশ্যই ট্রেনিং দেবেন। তাতে সারাজীবন তার সঙ্গ অনেক বেশি এবং ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। শুধু তাই নয় বেড়াতে বেরিয়ে তাকে অন্যান্য প্রজাতির কুকুরদের সাথে মিশ্টে দিয়ে সোশ্যাল করে তোলা উচিত হবে।


যখন আপনি আপনার পোষ্যকে নিয়ে বেড়াতে যাবেন, তখন সঙ্গে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট, ট্রে বা পুরোন খবরের কাগজ রাখতে পারলে ভাল হয়। বাইরে বের হলে আপনার পোষ্য মলত্যাগ করবেই। সেই মল প্যাকেটের মধ্যে তুলে ফেলে ডাস্ট বিনে ফেলে দিলে পরিবেশও পরিস্কার থাকবে।

পরিশেষে বলা যায়, আপনার পোষ্য সবথেকে বেশি যে জিনিসটা আপনার থেকে চায়, সেটা হল ভালবাসা। সে আপনাকে নিখাদ ভালবাসা দেয়, পরিবর্তে সেই রকম নিখাদ ভালবাসাই প্রত্যাশা করে। যখন সে কোনো নির্দেশ নির্ভুলভাবে পালন করবে হালকাভাবে তার পিঠ চাবরে উইশ করে দিন। মাঝে মাঝে তার মাথায়, ঘাড়ে এবং পেটের নিচে হাত বুলিয়ে আদর করে দিন। কুকুররা কানে আদর খেতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে।

দাবানলে নিহত 60 হাজার কোয়ালা

দাবানলে নিহত 60 হাজার কোয়ালা


পশু বসুন্ধরা, 18/08/2021 : অষ্ট্রেলিয়ার ঝোপ জঙ্গল দাবানলের কবলে পড়ে অন্তত 60 হাজার কোয়ালার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ডাবলু ডাবলু এফ। 

অষ্ট্রেলিয়ায় শুকনো ঝোপ জঙ্গলে আগুন লেগে ধিকি ধিকি দাবানল ছড়িয়েছে বহুদূর পর্যন্ত। অন্ততপক্ষে অষ্ট্রেলিয়ার প্রায় আড়াই কোটি হেক্টর জমির জঙ্গল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাইলের পর মাইল জমি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এত বড় বিপর্যয়কে অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ব্ল্যাক সামার নামে ভূষিত করেছেন। 


এই দাবানলে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। 33 জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্ততপক্ষে 60 হাজার কোয়ালার মৃত্যু হয়েছে। বহু কোয়ালা উদ্ভ্রান্তের মত বিভিন্ন শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই অষ্ট্রেলিয়ায় কোয়ালাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছিল। দেশে বন কেটে চাষের জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে, রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। শহর গড়ে উঠছে। যার ফলে এমনিতেই কমে আসছিল নিরীহ কোয়ালাদের সংখ্যা। তার মধ্যেই ব্ল্যাক সামার সংখ্যায় অনেকটাই কমিয়ে দিল তাদের। এরপর অতি বিরল তালিকায় না চলে যায় কোয়ালা ।

Saturday, August 7, 2021

পথ পশুদের উত্যক্ত করা বন্ধ হোক : AWBI

পথ পশুদের উত্যক্ত করা বন্ধ হোক : AWBI


পশু বসুন্ধরা, 07/08/2021 : আমাদের দেধে পথ সারমেয় সহ অন্যান্য পশুদের ওপর নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে ফের একবার সাধারন মানুষকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানাল Animal Welfare Board Of India. এই ব্যাপারে বিভিন্ন রাজ্যগুলির কি কি করণীয় আছে, সেই বিষয়েও এক গুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে এই সংস্থা।

আমাদের দেশে পথে বসবাসকারী কুকুর, বেড়াল এমনকি বাঁদরের ওপরেও যখন তখন অত্যাচার চালায় এক শ্রেণীর মানুষ। পশু প্রেমীরা এই পশুদের খাবার দিতে গেলেও আক্রান্ত হতে থাকেন। এই অত্যাচার বন্ধ করতে কিছুদিন আগেই দেশের সর্বোচ্য আদালত তাদের রায়ে জানিয়েছে পথে বসবাসকারী সব পশুদের খাওয়ার অধিকার আছে। জে কেউ তাদের খাবার দিতে পারে। তবে দেখতে হবে সেই খাবার দিতে গিয়ে সমাজের কেউ যেন সমস্যায় না পড়েন বা কোনো জায়গা যেন নোংরা করা না হয়।

পথ কুকুরদের ওপর অত্যাচার ও নিষ্ঠুরতা বন্ধ করতে Animal Welfare Board Of India আজ একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই নির্দেশিকায় অনেক বেশি করে সচেতনতা শিবির আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে। এবং সচেতনতা শুরু করতে হবে তৃণমূল স্তর থেকেই, এমনটা বলা হয়েছে। এ জন্য রাজ্য সরকারের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার ব্যাবস্থাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Monday, August 2, 2021

অন্ধ্রে 300 পথ কুকুরকে মেরে ফেলার অভিযোগ

অন্ধ্রে 300 পথ কুকুরকে মেরে ফেলার অভিযোগ


পশু বসুন্ধরা, 02/08/2021 : পশুদের ওপর নির্মম অত্যাচারের আরও একটি নিদর্শন সামনে এল। একটি পশুপ্রেমী সংগঠন অভিযোগ জানিয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায় অন্তত 300 টি পথ কুকুরকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মৃতদেহগুলিকে মাটির তলায় পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে থাকা রাস্তার কুকুরদের প্রায়ই নির্মম অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়। এক শ্রেণীর বিকৃত মানসিকতার মানুষ পথ কুকুরদের ওপর নিষ্ঠুর অত্যাচার চালায়। কখনো ঢিল ছোঁড়া হয়, কখনো ফুটন্ত জল, আবার কখনো এসিড ঢেলে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসহায়ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে এই প্রাণীগুলো । সারা বছরই এই ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করে থাকে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি।

গতকাল একটি পশুপ্রেমী সংগঠন অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার ধর্মাজিগুদেম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেছে, তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আছে যে গত মাসের 24 তারিখে লিঙ্গাপালেম গ্রামে 300টি পথ কুকুরকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, তারপর তাদেরকে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। যারা এই নৃশংস কাণ্ডের সাথে যুক্ত আছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবী জানিয়েছে ঐ পশু প্রেমী সংগঠনটি ।