Saturday, June 27, 2020

শিখরের বাড়িতে নতুন অতিথি, এখন ধাওয়ান পরিবারের সদস্য

দেশ

পশু বসুন্ধরা , নতুন দিল্লী, ভারত, ২৭/০৬/২০২০ : ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর  ধাওয়ানের বাড়িতে দুই নতুন অতিথি এসেছে। সেই দুই অতিথির সাথে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যেই তাদের ছবি শিখর পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্ট্রাগ্রামে। 
আসলে শিখর ধাওয়ান দুটি পথ সারমেয়কে দত্তক নিয়েছে, এবং তাদেরকে পরিবারের অংশ করে নিয়েছে। সেই দুই পোষ্যের একজনের নাম চোলে এবং আর একজনের নাম ভ্যালেন্টাইন। দুজনকেই দত্তক পেয়ে খুব খুশি ধাওয়ান পরিবার। তাদের নিয়েই এখন ধাওয়ান পরিবারের কোয়ালিটি টাইম কাটছে। গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এখন কোনো ক্রিকেট খেলা না থাকায় দুই পোষ্যকে পুরোদস্তুর সময় দিচ্ছেন শিখর  ধাওয়ান।
অন্য্ একটি ছবিতে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের সাথে তাঁর ছেলে জোরাভরকেও দেখা যাচ্ছে আর ধবধবে সাদা রঙের দুই সারমেয় পোষ্য অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ক্যামেরার দিকে। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার মিচেল ম্যাকক্লেনাঘ্যান শিখরের এই সারমেয় প্রেম ও পথ কুকুরদের দত্তক নেওয়ার ব্যাপারটিকে প্রশংসা করেছেন। তিনি তাঁর টুইট ছোট্ট করে লিখে দিয়েছেন 'নাইস'।

Monday, June 22, 2020

মুখে আঘাতের ক্ষত নিয়ে প্রাণ গেল আরও এক হাতির

দেশ

পশু বসুন্ধরা, কোয়েম্বাটোর, তামিলনাড়ু, ২২/০৬/২০২০ : কেরালার পর এবার দক্ষিণ ভারতের আর এক রাজ্যে তামিলনাড়ুতে মুখে আঘাতের ক্ষত নিয়ে প্রাণ গেল ১২ বছর বয়স্ক এক হাতির।  
প্রাপ্তবয়স্ক এই হাতিটিকে মুখে ক্ষত নিয়ে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর শহরের বাইরে অনাঙ্কাট্টি পাহাড়ের নিচে জাম্বুগান্ডি গ্রামের কাছে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল কিছুদিন ধরেই। হাতিটির মুখে গভীর ক্ষত  ছিল বলে জানিয়েছেন  স্থানীয় বন দপ্তরের কর্মীরা। বন দপ্তরের কর্মীরা গত দুদিন ধরে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন হাতিটিকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্যে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় নি।  শেষ মেশ হাতিটিকে আর বাঁচানো যায় নি। আমাদের দেশে বন্যজন্তুদের জন্যে আদৌ কি সুচিকিৎসার সঠিক পরিকাঠামো আছে ? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই।
আজ সকালে হাতিটি মারা যায়। কিন্তু কি কারণে হাতিটির মুখে গভীর ক্ষত হয়েছিল, কিসের আঘাতে তার মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল, তা এখনো জানাতে পারে নি বন দপ্তর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পাশের রাজ্য কেরালায় আনারসের ভিতরে বোমা ঢুকিয়ে খাওয়ানোয় এক অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যু হয়েছিল, একই কায়দায় কিছুদিন আগে কেরালাতেই আরও এক হাতির মৃত্যু হয়েছিল। এই দুই হাতির মুখেও ছিল গভীর ক্ষত। 
কোয়েম্বাটোরে অনাঙ্কাট্টি পাহাড়ের নিচে থাকা এই হাতিটির ময়না তদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে, তার পরেই তার মৃত্যুর সঠিক কারন হয়ত জানা যাবে। 

Friday, June 19, 2020

ওড়িশায় উদ্ধার বুলেটবিদ্ধ হাতির মৃতদেহ, উদ্ধার হস্তিশাবক

 দেশের খবর

পশু বসুন্ধরা, বৌধ  শিলিগুড়ি, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ, ১৯/০৬/২০২০ : আজ ওড়িশার মুণ্ডেশ্বর রিজার্ভ  ফরেস্ট থেকে গুলিবিদ্ধ একটি হাতির দেহ উদ্ধার করল বন দপ্তর। অন্যদিকে গতকাল  শিলিগুড়ির কাছে নকশালবাড়ি থেকে একটি হস্তি শাবককে উদ্ধার করেছে বন দপ্তরের কর্মীরা ।  
আজ সকালে ওড়িশার মুণ্ডেশ্বর রিজার্ভ ফরেস্টের অধীনে বৌধ এলাকার মাধপুর অরণ্য  থেকে একটি পূর্ণ  বয়স্ক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন দপ্তরের কর্মীরা। অরণ্যের স্থানীয় কর্মী ও অন্যান্য বাসিন্দারা বন দপ্তরে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দপ্তরের একটি দল;  হাতির দেহে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন থাকলেও, তার দেহ থেকে কোনো অঙ্গ বা তার দাঁত খোয়া যায় নি বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। কিভাবে ওই হাতির মৃত্যু হল, তা জানতে হাতিটির দেহ ময়না তদন্তের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির কাছে নক্সালবাড়ি এলাকায় একটি হাতি শাবককে দলছুট হয়ে ঘুরে বেড়াতে  দেখা যায়। শাবকটি নকশালবাড়ি শহরের প্রান্তে ঘোরাঘুরি করছিল। খবর পেয়ে বন দপ্তরের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির সাফারি পার্কে নিয়ে যায়। আপাতত সেখানে রেখেই তার চিকিৎসা করা হবে এবং তার ওপর নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। 
এদিকে গতকাল ডুয়ার্সে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি অরণ্যের বাইরে রাস্তার ধারে নালায় পড়ে  গিয়েছিল। কাদায় আটকে গিয়ে সেই হাতি কিছুতেই উঠতে পারছিল না। শেষমেশ বন দপ্তরের কর্মীরা পে-লোডার দিয়ে ঠেলে তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে চাপরামারির অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Friday, June 12, 2020

পশু নির্যাতন বন্ধে চাই কঠোর আইন : অনুষ্কা শর্মা

দেশ

পশু বসুন্ধরা, মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ১১/০৬/২০২০ : আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন চেয়ে ডিজিটাল ক্যাম্পেন খুলতে এগিয়ে এলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা।
কেরালায় আনারসের মধ্যে করে বোমার আঘাতে অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনীর মৃত্যুর পরেই পশু নির্যাতন নিয়ে ব্যাপকভাবে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা এবং তাঁর স্বামী ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবার গোটা দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুললেন অনুষ্কা শর্মা। তিনি আবেদন করেছেন, যাতে আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন আরও কঠোর করা হয়।
আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনো কঠোর আইন নেই। অপরাধীদের সেভাবে ধরাও হয় না।পুলিশ অভিযোগ নিতে চায় না। অপরাধী গ্রেপ্তার হলেও সামান্য জরিমানা দিয়ে সেদিনেই মুক্তি লাভ করে। এর ফলে গোটা দেশে পশুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। পুরোন আইনের বদলে নতুন এবং আরও কঠোর আইনের দাবি বহু দিন থেকেই জানিয়ে আসছেন অসংখ্য পশুপ্রেমীরা।
একই দাবি নিয়ে সরব হয়েছিল পশু সংঠন 'আফফা', পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার জন্যে সরব হওয়ার জন্যে 'আফফা'র তরফ  থেকে বিশিষ্ট মানুষদের কাছে টুইট করে আবেদন রাখা হয়েছিল। সেই বিশিষ্টজনদের তালিকায় ছিলেন, নরেন্দ্র মোদী, বাবুল সুপ্রিয়, বিরাট কোহলি, অনুষ্কা শৰ্মা, অমিতাভ বচ্চন এবং মিমি চক্রবর্তী। আজ অনুষ্কা শর্মা একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন এবং দেশের কাছে আরও কঠোর আইনের দাবি তোলেন। অনুষ্কার মত যদি অন্যান্য জনপ্রিয় মুখগুলিও এই দাবি তুলতে শুরু করেন, তাহলে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন নিয়ে আসতে  খুব দেরি  হবে না। 

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিতা বাঘের মৃত্যু রাজস্থানে

দেশ

পশু বসুন্ধরা, ভিলওয়ারা, রাজস্থান, ১১/০৬/২০২০ :  রাজস্থানের ভিলওয়ারার কাছে আজ একটি চিতা বাঘের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।  চিতাবাঘটি গ্রামের কাছেই চলে এসেছিল। 
চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার রামপুরিয়া গ্রামের কাদেরা এলাকায়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই গ্রামের আশেপাশে চিতাবাঘ চলে এসেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তবে আজ সেই চিতাবাঘটিকে অনেকেই গ্রামের কাদেরা এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। চিতা বাঘটি সম্ভবত জলের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সে কারোর কোনো ক্ষতি করেনি। 
আজ সকাল হতেই গ্রামের পথঘাটে মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। তখন চিতাবাঘটি একটি গাছের মাথায় উঠে বসে। সেই গাছের কাছ দিয়েই একটি হাই টেনশন ইলেকট্রিক তার গিয়েছে কাছের বক্সাইট খনিতে। বাঘটি কোনোভাবে বেসামাল হয়ে ওই হাই টেনশন তারের সংস্পর্শে আসতেই বিদ্যুতের আঘাতে ছিটকে পড়ে যায়  নিচে। সঙ্গে সঙ্গেই চিতাবাঘটি মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শিরা।
এর পর ভিলওয়ারা  বন দপ্তরের কর্মীরা এসে চিতাবাঘের দেহ সরিয়ে নিয়ে যায়। মৃত এই চিতাবাঘের দেহ ময়না তদন্ত করে দেখা হবে, মৃত্যুর আগে কোনো মানুষের দ্বারা তাকে অত্যাচারিত হতে হয়েছিল কিনা, সেটা জানার জন্যে।

Wednesday, June 10, 2020

২ সপ্তাহ ধরে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে মুখ আটকানো কুকুর শাবক উদ্ধার কেরালায়

দেশ

পশু বসুন্ধরা, থ্রিসুর, কেরালা, ১১/০৬/২০২০ : কেরালা রাজ্যে পশু নির্যাতন অব্যাহত। এবার কেরালায়  একটি কুকুর শাবকের মুখ দুই সপ্তাহ ধরে টেপ দিয়ে আটকে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল।   
কেরালার থ্রিসুর জেলার ওল্লুরে একটি পশু কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একটি কুকুর শাবককে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে, যার মুখ শক্ত করে টেপ দিয়ে আটকানো ছিল। ঘটনার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কুকুর শাবকের মুখ প্লাস্টিক টেপ দিয়ে শক্ত করে আটকানো ছিল বিগত দুই সপ্তাহ ধরে। এর ফলে সে গত দুই সপ্তাহ ধরে খাবার খেতে পারে নি; এমনকি জল পান করতেও পারেনি। রাস্তা থেকে এই কুকুর শাবকটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পশুপ্রেমীরা জানিয়েছেন, এই শাবকটির মুখ এত শক্ত করে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল যে, সে আর নিজে থেকে খুলতে পারে নি। আর দুই সপ্তাহ ধরে এই প্লাস্টিক টেপ তার মুখের চামড়ার সাথে পুরোপুরি সেঁটে  যায়, যেটা খুলতে গিয়ে বেশ কষ্ট পেতে হয়েছে ওই শাবকটিকে। টেপ খুলে দেওয়ার পর শাবকটি অন্তত দুই লিটার জল পান করেছে। এর পর ওই কুকুর শাবকের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। ওই শাবকটির গলায় একটি কলার পড়ানো ছিল, তাতে মনে হচ্ছে এটি কারোর  পোষা কুকুর ছিল। কুকুর শাবকটি আপাতত ভাল আছে।
কিছুদিন আগেই কেরালায় আনারসের মধ্যে বোমা পুড়ে হাতিকে খেতে দেওয়া হয়েছিল। যে বোমা ফেটে গিয়ে অন্ত্বঃসত্তা  হাতিটির মৃত্যু হয়েছিল। একই কায়দায় কিছুদিন আগে আরও একটি হাতিকে কেরালায় মারা হয়েছিল।  কেরালায় পশু নির্যাতনের ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে আসছে। তবু কেরালা সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর আগে একবার কয়েক হাজার পথ কুকুরকে হত্যা করা হয়েছিল ঈশ্বরের আপন দেশ কেরালায়। আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের জন্যে কোনো কঠোর আইন না থাকায়, অত্যাচারীরা যেমন সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়, তেমনি পশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাও বেড়ে চলেছে ব্যাপক হারে। 

কুয়ার মধ্যে চিতাবাঘকে উদ্ধার করা হল তিন ঘন্টায়

কুয়ার মধ্যে চিতাবাঘকে উদ্ধার করা হল তিন ঘন্টায়

পশু বসুন্ধরা, ছোট উদেপুর, গুজরাট, ১০/০৬/২০২০ :  আজ সকালে গুজরাটের ছোট উদেপুর গ্রামে একটি কুয়ার মধ্যে একটি চিতাবাঘ পড়ে যায়, দীর্ঘ  প্রচেষ্টার পর সেই চিতাবাঘকে উদ্ধার করেন  গুজরাটের বন দপ্তরের কর্মীরা।
আজ সকালে গ্রামবাসীরা কুয়া থেকে জল তুলতে গিয়ে দেখেন কুয়ার মধ্যে একটি চিতাবাঘ পড়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়েছিল সেই চিতাবাঘটি। ৫০ ফুট গভীর ওই কুয়ার মধ্যে একটি লোহার রডের ওপর সে বসে ছিল। 'কুয়ায় বাঘ পড়েছে' খবরটা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর গ্রামবাসী চিতাবাঘ দেখতে হাজির হন। ইতিমধ্যে খবর যায় বন দপ্তরে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বন দপ্তরের কর্মীরা।
কুয়ার ধরে পৌঁছে বন দপ্তরের কর্মীরা একটি মই সিঁড়ি সঙ্গে দড়ি দিয়ে কুয়ায় মধ্যে ঝুলিয়ে দেন। তার আগে কুয়ার ধার থেকে অবশ্য গ্রামবাসীদের ভিড় সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বন দপ্তরের ঝুলিয়ে দেওয়া মই সিঁড়ি বেয়ে স্ত্রী চিতাবাঘটি সাবধানে ওপরে উঠে আসে। কিন্তু তারপর এতটুকু সময় নষ্ট না করে সে ছুটে অরণ্যে ঢুকে যায়। তিন  ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে স্ত্রী চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। 

সৌজন্যে : ANI

গির অরণ্যে বেড়েছে সিংহের সংখ্যা

গির অরণ্যে বেড়েছে সিংহের সংখ্যা



পশু বসুন্ধরা, ১০/০৬/২০২০ : আমাদের  দেশে সবথেকে বেশি সংখ্যক সিংহ রয়েছে গুজরাটের গির অরণ্যে. সেখানে বর্তমানে সিংহের  সংখ্যা  বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 
গত  ৫বছরে গুজরাটের গির অরণ্যে এশিয়ান সিংহের সংখ্যা বেড়েছে দেড়শর বেশি বলে জানা গিয়েছে বন মন্ত্রক সূত্রে। পাঁচ বছর আগে ২০১৫ সালে গুজরাটে সিংহের সংখ্যা ছিল ৫২৩, আর এখন ২০২০ সালে সেখানে সিংহের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৭৪. গত পাঁচ বছরে ১৫১টি সিংহ  বেড়ে গিয়েছে সেখানে। অর্থাৎ গুজরাটে শতকরা হিসেবে ২৮% বেড়ে গিয়েছে মোট সিংহের সংখ্যায়। 
এর আগে ২০১৫ সালের মে মাসে গুজরাটে সিংহ শুমারি করা হয়েছিল, আর পাঁচ বছর পরে  এবছরেরও মে মাসে সিংহের শুমারি করা হয়েছে। আর তাতেই এই  তথ্য উঠে এসেছে। প্রতি ৫ বছর অন্তর গুজরাটে সিংহের শুমারি করা হয়, অন্যান্য বারের তুলনায় এই শেষ ৫ বছরে সিংহের সংখ্যায় বৃদ্ধির হার অন্যতম সেরা বলে জানিয়েছেন গুজরাটের চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন। 
গুজরাটের বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিংহের সংখ্যায় এই বৃদ্ধির পিছনে অনেকগুলি কারন রয়েছে যেমন, প্রজনন বৃদ্ধির  পরিকল্পনা, উন্নত  প্রযুক্তির ব্যবহার,  ওয়াইল্ড লাইফ হেলথ কেয়ার, স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা,  শিকার বা আহার্য প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মানুষ-সিংহ সংঘাত হ্রাস করা; এই সব কিছুর ফলস্বরূপ গির অরণ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছে সিংহের সংখ্যা। আমাদের দেশে দীর্ঘমেয়াদি বন্যপশু সংরক্ষণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

Thursday, June 4, 2020

নৃশংসভাবে পশু হত্যা করাটাকে একেবারে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে কেরালার এক শ্রেণীর মানুষ

ভারত

পশু বসুন্ধরা, ০৪/০৬/২০২০ : কেরালার মানাপ্পুরমে নৃশংসভাবে অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনীর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে আজ জানালেন দেশের পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।  সরব হয়েছেন স্মৃতি ইরানীও, বলেছেন, "পশুদের বোমা খাওয়ানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়"। ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন মানেকা গান্ধী। 
কেরালার সাইলেন্ট ভ্যালি থেকে একটি হস্তিনী খাবারের খোঁজে মনপ্পুরম জেলার আট্টাপাড্ডি  গ্রামে চলে এসেছিল। কয়েকজন গ্রামবাসী সেই হস্তিনীকে একটি আনারস খেতে দিয়েছিল। সরল বিশ্বাসে হস্তিনী সেই আনারসটি মুখে পুড়েছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা সেই আনারসের মধ্যে ভরে দিয়েছিল বোমা। সেই বোমা  হস্তিনীর মুখেই ফেটে যায়।রক্তাক্ত হস্তিনী কারোর কোনো ক্ষতি না করে পাশেই বয়ে চলা ভেল্লিয়ার নাদির মাঝ বরাবর গিয়ে তার পেট ও মাথা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, সে বুঝতে পেরেছিল, তার মৃত্য আসন্ন। হস্তিনীর পেটে ছিল ছয় মাসের বাচ্ছা। যাতে বাচ্ছার কোনো ক্ষতি না হয় তাই সে পেট ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অনেক্ষন। বন্ দপ্তরের কর্মীরা চেষ্টা করেও তাকে সেখান থেকে নড়াতে পারে নি। ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই  তার মৃত্যু হয়।
ওই হস্তিনীর দেহ যে ডাক্তার ময়না তদন্ত করেন, গতকাল  সেই পশুচিকিৎসক মোহন কিষান ঘটনার বয়ান দিতে গিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় বয়ে যায় গতকাল। সবাই বলতে থাকেন, "মানুষ কিভাবে এতটা নৃশংস হতে পারে। নিজেদেরকে মানুষ হিসেবে ভাবতেই লজ্জা করছে।" সত্যিই লজ্জায় মাথা হেঁটে হয়ে যায়। গোটা বিশ্ব এখন এই ঘটনার জন্যে ধিক্কার জানাচ্ছে।
কিন্তু কেরালার এই মনপ্পুরম জায়গাটির এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে লজ্জা শরম বিষয়টাই নেই। এরা  এরকমই। কিছুদিন আগে ঠিক এভাবেই একটি হাতিকে  মেরেছিল এখানকার গ্রামবাসীরা বলে জানতে পারা যাচ্ছে। সেই হাতিটিকে অরণ্যের মধ্যে উদ্ভ্রান্তের মত ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। সেই হাতিটিরও চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল, ঠিক যেমন এই হস্তিনীর চোয়ালও ভেঙে গিয়েছিল। সেই হাতিটির শুঁড় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। বন্ দপ্তরের কর্মীরা অনেক চেষ্টার পরে  বেহুঁশ করে চিকিৎসা শুরু করলেও তাকে আর বাঁচানো যায় নি;
মনপ্পুরমের একশ্রেণীর মানুষ এরকমই। ২০১৬ সালে বিষ খাইয়ে এখানকার মানুষ প্রায় ৪০০টি পথ কুকুরকে হত্যা করেছিল। কোনো শাস্তি তাদের হয় নি। এরা পথে ঘাটে বিষ ছড়িয়ে রাখে পশু পাখিকে মারার জন্যে। অথচ কোনো অজ্ঞাত কারণে এদের কোনো শাস্তি হয় না। এবারেও হয় নি। অন্তত এখনো পর্যন্ত হয় নি। কেরালার বন মন্ত্রী কে রাজু জানিয়েছেন, "একটি হাতি সারা দিনে কয়েক কিলোমিটার ঘুড়ে বেড়ায়, ঠিক কোন জায়গায় কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খুঁজে বের করা খুব মুশকিল।" এই হল কেরালা সরকারের মনোভাব। নৃশংসভাবে পশু হত্যা করাটাকে একেবারে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে কেরালার এক শ্রেণীর মানুষ।
গতকাল ভগবানের আপন দেশ কেরালায় যে বর্বরোচিত হাতি হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তাতে দেশের আপামর সাধারণ মানুষ গর্জে উঠে বলেছে 'অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।, অনেকেই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন অনেকেই,  অনুষ্কা শর্মা, অক্ষয় কুমার, বরুন ধাওয়ান, জন আব্রাহাম, আলিয়া ভাট, দিশা পাটানি এবং দিয়া মির্জারা দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। অর্জুন কাপুর বলেছেন, "আমরা হেরে গিয়েছি। এই গ্রহটাকে রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এই গ্রহেই অন্যান্য যে সব প্রজাতি আমাদের সাথেই বসবাস করে আমরা তাদেরকে ন্যূনতম শ্রদ্ধাটুকুও করতে পারি নি. কেরালার ঘটনায় আমাকে স্তম্ভিত করেছে।"
আসলে আমাদের দেশে বন্য প্রাণীকে বা অন্যান্য পশুকে হত্যা বা নির্যাতনের জন্যে কোনো কঠোর আইন নেই। আমাদের দেশে তাই পশুরা খুব বেশি সুরক্ষিত নয় বলেই মনে করেন দেশের পশুপ্রেমীরা। যাঁরা আইন প্রণয়ন করেন, তাঁদেরকেও এই ঘটনা বিচলিত করেছে, কিন্তু পশু নির্যাতনের জন্যে একটি কঠোর আইন কি তাঁরা নিয়ে আসবেন ? এটাই এখন বড় প্রশ্ন দেশের পশুপ্রেমীদের।