Thursday, December 17, 2020

উটির বনপথে উজ্জ্বল রং-এর ট্রেন বন্ধ করার দাবী উঠল

উটির বনপথে উজ্জ্বল রং-এর ট্রেন বন্ধ করার দাবী উঠল


পশু বসুন্ধরা, ১৮/১২/২০২০ : দক্ষিণ ভারতে নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের একটি বিশেষ ট্রেনকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে শুধুমাত্র ট্রেনের বাইরের গায়ের রং-এর জন্যে। শুধুমাত্র এই কারণেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে।  আপাতত এই ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

নীলগিরি মাউন্টেন রেলের উটি যাওয়ার একটি ট্রেন পরিচালনা করে 'প্রাইভেট প্লেয়ার্স' নামে একটি সংস্থা। উটির ট্রেনটির গায়ে এর আগে কালচে নীল রং ছিল, কিন্তু সম্প্রতি সেই রং-এ কিছুটা পরিবর্তন করে উজ্জ্বল নীল রং লাগানো হয়েছে এবং তার সাথে কম্বিনেশন করে উজ্জ্বল গেরুয়া রং লাগানো হয়েছে। নতুন রং এ রাঙ্গিয়ে ট্রেনগুলির যাত্রা শুরুও হয়ে গিয়েছে পর্যটনকেন্দ্র উটির অভিমুখে।

কিন্তু গোল বেঁধেছে এখানেই। বনদপ্তর এবং কয়েকটি পশুপ্রেমী সংস্থা ওই ট্রেনের নতুন রং এর সমালোচনা করে জানিয়েছে, 'ওই ট্রেনগুলিকে রীতিমত উজ্জ্বল রং  দিয়ে নতুন করে রাঙানো হয়েছে। অথচ ওই ট্রেন তার যাত্রাপথের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ঘন অরণ্যের মধ্যে দিয়ে। যে অরণ্যে ঘুরে বেড়ায় হাতির দল এবং অন্যান্য পশুরা। ট্রেনের ওই উজ্জ্বল রঙ বন্য পশুদের আকর্ষণ করতে পারে। তাদেরকে উস্কে দিলে তারা ট্রেনকে আক্রমন করে বসতে  পারে। তাতে যাত্রীদের আহত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া এভাৱে বন্য পশুদের নিয়ম করে বার বার অশান্ত করে তোলা উচিত নয়।'

বন্  দপ্তরের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে 'ওয়াইল্ড লাইফের একটা নিয়ম রয়েছে, ঘন অরণ্যের মধ্যে উজ্জ্বল রং-এর কোনো কিছুই থাকা উচিত নয়, উজ্জ্বল রং -এর উপস্থিতি বন্য পশুকে আকর্ষণ করতে পারে এবং তাদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলতে পারে'। আপাতত উটির অভিমুখে উজ্জ্বল রংওলা ওই ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে শনি  ও রবিবার ওই ট্রেন চালানো হচ্ছে। সপ্তাহের অন্যান্য কম ট্রেন চালানো হচ্ছে।

তড়িদাহত হয়ে আসামে অন্তঃসত্ত্বা হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু

তড়িদাহত হয়ে আসামে অন্তঃসত্ত্বা হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু


পশু বসুন্ধরা , ১৮/১২/২০২০ :  বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে ফের এক পূর্ণবয়স্ক হস্তিনীর মর্মান্তিক মৃত্যু হল আসামে। বন  দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন  হস্তিনীটি  অন্তসত্বা ছিল।

হাতিমৃত্যুর এই ঘটনাটি ঘটেছে আসামের চিরাং জেলার শিকাঝোড়া গ্রামে। বনের খুব কাছাকাছি অবস্থিত গ্রামটি। হস্তিনীটি অরণ্যের ধারের ওই গ্রামের খুব কাহ্হাকছি চলে এসেছিল এবং গ্রামের সীমান্তে লাগিয়ে রাখা বিদ্যুতের তারের সংগসর্ষে চলে এসে তড়িদাহত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তড়িদাহত হয়ে নিমেষে ছিটকে পড়ে যায় সে। এর কিছুক্ষণ পরেই মারা যায় হাতিটি। 

আমাদের দেশে অরণ্যের গাঁ ঘেঁষে অসংখ্য গ্রাম গড়ে উঠেছে। বহু ক্ষেত্রে অরণ্য কেটে গ্রাম বা জনপদ গড়ে উঠেছে, এতে  অরণ্যের পরিসর ক্রমেই ছোট হয়ে এসেছে, যার ফলে দ্রুত খাবারের ভান্ডার কমতে শুরু করেছে অরণ্যে ভিতরে। এই কারনে খাবারের সন্ধানে বন্য পশুরা অরণ্য ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছে। তারা  গ্রামগুলোতে হানা দিচ্ছে খাবারের জন্যে। যার ফলে মানুষ ও বন্য পশুর মধ্যে বাড়ছে সংঘাত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাণ যাচ্ছে পশুদের।

আসাম বন্ দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গত আগস্ট মাস থেকে এই অঞ্চলে মোট ৬টি হাতির মৃত্যু হল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এবার যে হাতিটির মৃত্যু হল তার বয়স প্রায় ২০ বছর, সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে বন দপ্তর বিদ্যুৎদপ্তরের সাথে কথা বার্তা বলেছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে লিফলেট বিলি করে সতর্ক করে বলেছে এই ধরনের ঘটনা ঘটার আগেই যাতে বন দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়। বন দপ্তরের বক্তব্য, তাদের কাছে যদি আগাম খবর থাকত যে গ্রামের কাছাকাছি হাতি এসে পড়েছে, তাহলে তারা হাতিটিকে ফের অরণ্যের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারত।

Tuesday, December 1, 2020

ছোট ছোট পশুদের প্রাণ বাঁচাতে উত্তরাখণ্ডে তৈরি হল প্রথম ইকো ফ্রেন্ডলি সেতু

ছোট ছোট পশুদের প্রাণ বাঁচাতে উত্তরাখণ্ডে তৈরি হল প্রথম ইকো ফ্রেন্ডলি সেতু


পশু বসুন্ধরা, দেরাদুন, উত্তরাখন্ড, ০১/১২/২০২০ :  উত্তরাখণ্ডের রামনগর ফরেস্ট ডিভিশন তৈরি করল রাজ্যের প্রথম ইকো ফ্রেন্ডলি সেতু, যে সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে পার হয়ে যেতে পারবে ছোট ছোট পশুরা।

উত্তরাখণ্ডের কালডুঙ্গি জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে গভীর অরণ্যের বুক চিরে। প্রতি বছর এই সড়কের ওপর রাস্তা পার করতে গিয়ে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ যায় অরণ্যের ছোট ছোট পশুদের। তাই তাদের প্রাণ রক্ষা করার জন্যেই রামনগর ফরেস্ট ডিভিশন একটা ইকো ফ্রেন্ডলি সেতু বানিয়ে দিল। যে সেতু ধরে সাপ, খরগোশ, গোসাপ  বা এইরকম ছোট ছোট পশুরা অনায়াসে পথ পার করে একদিক থেকে আর একদিকে চলে যেতে পারবে। 



ইকো ফ্রেন্ডলি এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৯০ ফুট এবং চওড়ায় ৫ ফুট। সেতুটি তৈরি করা হয়েছে বাঁশ, দড়ি ও ঘাস দিয়ে। যাতে সহজেই এই সেতু ধরেই রাস্তা পারাপার করতে পশুদের কোনোরকম .অসুবিধা না হয়। ভারতের প্রায় সব অরণ্যের মধ্যে দিয়েই চলে গিয়েছে সড়কপথ আর সেইসব সড়কপথ ধরে দ্রুতবেগে চলে যায় গাড়ি। এই ধরনের ইকো ফ্রেন্ডলি সেতু যদি বাধ্যতামূলকভাবে অন্যান্য অরণ্যেও করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে বন্য পশুর প্রাণ বাঁচবে, রক্ষা পাবে দেশের অরণ্য সম্পদ।

Wednesday, September 23, 2020

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফের একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু দেশ

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফের একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু


পশু বসুন্ধরা, রায়গড়, ছত্তিশগড়, ২৩/০৯/২০২০ :  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ফের একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। এবার ঘটনাস্থল ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়গড় জেলা।

আজ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়গড় জেলার ধর্মজয়গর গ্রামের কাছে।  মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন বনকর্মীরা ।

বনকর্মীরা জানিয়েছেন, "ধর্মজয়গর গ্রামের কাছেই খাবারের খোঁজে অরণ্য থেকে বেরিয়ে এসে খোলা মাঠের ধরে একটি ফার্ম হাউসের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল ওই হাতিটি। ফার্ম হাউসের চারদিকে যে পাঁচিল ছিল, সেই পাঁচিলের গা ঘেঁষে লাগানো ছিল খোলা ইলেক্ট্রিকের তার আর সেই তারে দেওয়া ছিল হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ। সেই তারের সংস্পর্শে আসতেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।"

বন্ কর্মীরা ওই হাতির মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্যে নিয়ে গিয়েছেন। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, মাঠের ধরে ফার্ম হাউসে অবৈধভাবে বিদ্যুতের বেড়া দেওয়া হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এই ব্যাপারে বনকর্মীরা তদন্ত করে দেখছেন । তাঁরা জানিয়েছেন দোষী প্রমাণিত হলে অপরাধী ছাড়া পাবে না। যে হাতিটি মারা গিয়েছে সেই হাতির বয়স ৩০ বছর বলে জানিয়েছেন বন কর্মীরা। গত ৩ মাসে ছত্তিশগড় রাজ্যে বিভিন্ন কারনে মোট ৯টি হাতির মৃত্যু হল এই হাতিটিকে নিয়ে। এর আগেও ছত্তিশগড়ে এভাবেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। 

সৌজন্যে : ANI

Sunday, August 23, 2020

পথ কুকুরকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হলেন টুইঙ্কল খান্না

পথ কুকুরকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হলেন টুইঙ্কল খান্না

পশু বসুন্ধরা, মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ২৪/০৮/২০২০ : পাঞ্জাবের একটি রাস্তায় এক পথ কুকুরকে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনায় প্রাতিবাদে সরব  হলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না। 

কিছুদিন আগেই পাঞ্জাবের একটি রাস্তায় শুয়েছিল একটি পথ কুকুর। রাস্তার ধারে  দাঁড়িয়েছিল একটি গাড়ি । চালক গাড়িতে উঠেই সামনে শুয়ে থাকা পথ কুকুরটিকে ইচ্ছাকৃতভাবেই পিষে দিয়ে চলে যায়। যন্ত্রনায় চিৎকার করে উঠে কোনো ক্রমে পালাবার চেষ্টা করে ওই কুকুরটি। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে উঠে যায় এবং সেই ভিডিও ফুটেজ ক্রমেই ভাইরাল হতে থাকে। নেটিজেনরা প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। 

এই ঘটনা নিয়েই টুইঙ্কল খান্না বিজেপি নেত্রী পশুপ্রেমী মানেকা গান্ধীকে ট্যাগ করে টুইট করেন। টুইঙ্কল লেখেন, "ওই পিশাচরূপী চালককে গ্রেপ্তার করা উচিত। কিভাবে কেউ ঘুমন্ত পশুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিতে পারে ! ওই চালকের উপযুক্ত শাস্তি হাওয়া উচিত।" প্রাক্তন অভিনেত্রীর কথায় শুধু নয়, শোনা যাচ্ছে মানেকা গান্ধী দেশের বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন থেকে অভিযোগ পেয়েও ব্যবস্থা নিতে চলেছেন। জানা  গিয়েছে, ওই চালক নিজে একজন ডগ ব্রিডার। কিন্তু দেশের পশু প্রেমীরা সেকথা মানতে নারাজ, তাঁদের বক্তব্য, 'যে ডগ ব্রিডার হবে, সে কখনোই কোনো কুকুরকে এভাবে পিষে দিয়ে চলে যেতে পারে না'।

পশু নির্যাতনের করলে কঠোর আইন আনছে কেন্দ্র সরকার

পশু নির্যাতনের করলে কঠোর আইন আনছে কেন্দ্র সরকার

পশু বসুন্ধরা, ২৪/০৮/২০২০ : পশুদের ওপর এক শ্রেণীর মানুষের নির্মম অত্যাচার ক্রমেই মাত্রা ছাড়িয়েছে আমাদের দেশে। এবার পশু নির্যাতন নিয়ে কঠোর আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।

এক শ্রেণীর মানুষ পশুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে পৈশাচিক  আনন্দ পায়। আর সেই কারণেই কোথাও পথ কুকুরদের বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে, কোথাও বা তাদের লেজে কালি পটকা লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও গরম জল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও বা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে প্রতিটা শহরে পথ কুকুরদের গাড়ির চাকার তলায় মৃত্যুর  ঘটনা অহরহ ঘটছে, এই ঘটনা সংখ্যা দিয়ে গুনে শেষ করা যাবে না।

শুধু পথ কুকুর নয়, বন্য পশুদেরকেও অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে। কিছুদিন আগে কেরালাতেই একের পর এক হাতির মৃত্যু হয়েছে এক ধরনের মানুষের নির্যাতনের শিকার হয়ে। কর্নাটকে গরুর মৃত্যু হয়েছে বনশূকরকে ফাঁদ  হিসেবে রেখে যাওয়া বোমা খেয়ে ফেলে। দেশের অভয়ারণ্যগুলিতেও দৌরাত্ম বেড়েছে চোরাশিকারিদের। এছাড়াও অরণ্য ছেড়ে লোকালয়ের কাছাকাছি বেরিয়ে আসার অপরাধে বন্য পশুদের নির্মম অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে হামেশাই।

কিন্তু কেন পশুদের ওপর মানুষের এত অত্যাচার ? তার অন্যতম প্রধান কারন হল আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের জন্যে তেমন কোনো কঠোর আইন নেই। পশুপ্রেমীরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন এই বিষয়টি নিয়ে। তাঁরা এই আইন আরও কঠোর করার দাবী জানিয়ে আসছেন। কিন্তু পশু নির্যাতন নিয়ে দেশের যে আইন রয়েছে, তা এতই দুর্বল,  সেটা এতদিন কারোরই নজরে আসেনি। 

আমাদের দেশে পশু নির্যাতন নিয়ে যে আইন আছে, সেটি হল সংবিধানের ১১(১) ধারা। যাকে বলা  হয় Protection to Animal Cruelty Act 1960 (PCA). এই আইনটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬০ সালে। যে আইনের বলে পশুদের ওপর অত্যাচার  করলেও মাত্র ১০ থেকে ৫০ টাকা জরিমানা দিলেই পার পাওয়া যায়। এই আইনটিই এখনো বলবৎ রয়েছে। গত ৬০ বছর ধরে এই আইনটিকে সংশোধন করার কথা মনেই হয় নি আমাদের দেশের আইন প্রণেতাদের। যার ফলে, এতদিন ধরে পশুদের ওপর নির্যাতন করেও দিব্যি পার পেয়ে যায় এক শ্রেনীর মানুষ। এর সাথেও আছে আর একটা কারন, আর সেটা হল শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব।

এবার কিন্তু আইন প্রণেতারা নড়েচড়ে বসেছেন। পশু নির্যাতনের এই আইনকে সংশোধন করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন দেশের আইন প্রণেতারা। দেশের সোশ্যাল জাস্টিস এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রী থাওয়ারচাঁদ গেহলট সহ মোট ১২ জন এমপি লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন দেশের পশুসম্পদ ও ডেয়ারি মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে। ওই ১২ জন এমপির মধ্যে  রয়েছেন বিজু জনতা দলের সাংসদ  অনুভব মোহান্তি, কংগ্রেসের সংসদ মহম্মদ জাভেদ ও বিবেক তানখা। গিরিরাজ সিংহ নিজে এই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ত্ব নিয়ে দেখছেন, তিনি মন্তব্য করেছেন, "গত ৬ দশক ধরে এই আইনটিকে কঠোর করার কথা আগে কেন কোনো আইন প্রণেতা ভেবে দেখলেন না ! এই আইনটিকে অবশ্যই সংস্কার করা উচিত, এবং তা দ্রুত করা হবে।"

তবে এ কথা ঠিক, লোকসভার সদ্দস্য হয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী একবার সংসদে এই ধরনের দাবী তুললেও সেবার তাঁর বক্তব্য সেভাবে গুরুত্ত্ব পায় নি। কিন্তু এবার এই আইন সংশোধিত হতে চলেছে। তবে সার্কাসে যে সব পশুদেরকে এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে গিরিরাজ সিংহ কোনো কথা বলেন নি। কেননা সেই ব্যাপারটা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। 

Wednesday, July 29, 2020

বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে খাদ্য সঙ্কটে বন্য পশুরা

 দেশ

পশু বসুন্ধরা, ২৯/০৭/২০২০ : আসামে চলছে ভয়াবহ বন্যা। বন্য পশুরা প্রাণ বাঁচাতে এবং একটু খাবারের আশায় বন্ থেকে বেরিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতে আজ আসামের পবিতরা অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে এসে কাছাকাছি লোকালয়ে ঘুরতে দেখা গেল এক জোড়া গন্ডারকে।
আসামে প্রতি বছর বন্যায় অভয়ারণ্যগুলির বেশিরভাগ জায়গা ডুবে যায়. আর অরণ্যের বন্য পশুরা আশ্রয়ের খোঁজে বন থেকে বেরিয়ে আসে আশ্রয়ের খোঁজে। এই বছর শুধু কাজিৰঙা আড়ানিতেই ১৩২ টি বন্য পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। কাজিরাঙায়া অভয়ারণ্যের বেশিরভাগ জায়গা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। 
আসামের বন্যায় এখনো পর্যন্ত ৫৩০৪ টি গ্রামে মোট ৫৬০১৭০৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন , যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত ১০৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাম্ভপুত্রের জল হু হু করে ঢুকছে কাজিৰঙা অভয়ারণ্যে। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এখন শুধুমাত্র ছোট গাড়িগুলির জন্যেই খোলা রয়েছে। 


কিছুদিন আগেই পবিতরা অভয়ারণ্যের কাছে ময়ুঙ ও  মোরিগাঁও এলাকায় জনবসতির কাছেই একটি মা গন্ডারকে তার শাবককে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। তারা খাবারের খোঁজে জনবহুল জায়গায় উদ্ভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অরণ্যের মধ্যে এখন একটুও খাবার নেই,  যেখানে আছে সেখানে হয়ত বন্য পশুরা পৌঁছাতেই পারছে না. তাছাড়া এই মুহূর্তে আসামে যে বন্যা পরিস্থিতি চলছে, তাতে করে বন কর্মীরাও বন্য পশুদের খাবার পৌঁছে দিতে পারছে না. যার ফলে বন্য পশুরা খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছে।

Tuesday, July 21, 2020

মুখে বোমা ফেটে নির্মম মৃত্যু একটি গরুর

দেশ

পশু বসুন্ধরা, ২১/০৭/২০২০ : মহীশূর, কর্নাটক, ২১/০৭/২০২০ : কর্নাটকের মহীশূরের কাছে এইচ ডি কোটে নামে একটি জায়গায় একটি গরু ঘাস খেতে  গিয়ে মাঠের ধারে পড়ে  থাকা  একটি বোমা খেয়ে ফেলে। 
বোমাটি গরুটির মুখেই ফেটে যায়;. মারাত্মকভাবে জখম হয় ওই গরুটি। এরপর  পশু চিকিৎসকেরা প্রচুর চেষ্টা করেন  ওই গরুটিকে বাঁচিয়ে তোলার। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে গরুটি মারা যায়। এরপর যার গরু সেই চাষিটি গরুর গায়ে বিষ মাখিয়ে ফেলে রাখে। যাতে ওই গরুর মাংস খেতে এসে এলাকার শুকরগুলি মরে যায়। কাছাকাছি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা জংলী শূকরগুলিকে মেরে ফেলতেই এমন ব্যবস্থা করেছিল অভিযোগ উঠেছে ওই চাষীর বিরুদ্ধে। 
এই ঘটনায় স্থানীয় পশু প্রেমীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন এবং ওই চাষীর শাস্তি চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। আমাদের দেশে বন্য পশু হোক বা গবাদি পশু, সকলেই এক ধরনের বিকৃত মানসিকতার  মানুষের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েই চলেছে। সংবিধানে কোনো কঠোর শাস্তির বিধান নেই বলেই বেড়ে চলেছে এই ধরণের নিষ্ঠুর  অত্যাচারের ঘটনাগুলি। অন্তত আমাদের দেশের পশুপ্রেমীরা সেটাই বলছেন।

Monday, July 20, 2020

ওড়িশার বালাসোর থেকে উদ্ধার হল অতি বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ

দেশ

পশু বসুন্ধরা, বালাসোর, পরীক্ষা, ২০/০৭/২০২০ : স্থানীয় মানুষজনের সহায়তায় এবার ওড়িশার বালাসোর থেকে উদ্ধার করা হল  অতি বিরল প্রজাতির  হলুদ কচ্ছপ।
হলুদ কচ্ছপ বা ইয়েলো  টার্টেলকে দেখতে খুব সুন্দর। এদের শরীরের মাংসল অংশটি হয় হালকা হলুদ রঙের আর পিঠের আচ্ছাদনটি হয় চকচকে হলুদ রঙের। আমেরিকার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ফ্লোরিডা এবং ভার্জিনিয়ার মাঝে এই কচ্ছপকে দেখতে পাওয়া যায়। কেউ কেউ আবার এই হলুদ কচ্ছপকে বাড়িতে পোষ্য হিসেবে রাখে আমেরিকার এই অঞ্চলে। তাবে আমাদের দেশে এই হলুদ কচ্ছপের সংখ্যা খুবই নগন্য। 
আমেরিকায় এই কচ্ছপকে 'ইয়েলো বেলিড স্লাইডার' নামেও ডাকা হয়। ওড়িশার বালাসোরে সোরো এলাকার সুজনপুর গ্রাম থেকে একটি হলুদ কচ্ছপকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে গ্রামবাসীরা সেটিকে দেখতে পেয়ে একটি জায়গায় ঘিরে রাখে। পরে বন দপ্তরের কর্মীরা এসে হলুদ কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বালাসোরের ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ভানুমিত্র আচার্য বলছিলেন, "এই কচ্ছপটির  গোটা গা সম্পূর্ণ হলুদ রঙের। আমি জীবনে এইরকম কোনো কচ্ছপ কোথাও দেখিনি। আমরা খুঁজে দেখব এই অঞ্চলেই এই ধরনের আর কোনো কচ্ছপ পাওয়া যায় কিনা।"


গত মাসে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার দেউলি ড্যাম এলাকা থেকে মাঝি ও জেলেরা উদ্ধার করেছিল ট্রিনোয়চিদে কচ্ছপ। এটিও বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বলে জানা গিয়েছে। পরে সেটিকে দেউলি ড্যাম এলাকার অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হয়ত এই হলুদ কচ্ছপকেও অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে অথবা ভিতরকনিকা  কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে সংরক্ষণ ও প্রজননের কারণে।
ট্রিনোয়চিদে কচ্ছপ আসলে সফটসেল কচ্ছপের সমগোত্রীয়। এগুলিকে বেশিরভাগ দেখা যায় আফ্রিকা, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার কিছু জায়গায়। এগুলির গড় ওজন হয় ৩০ কিলোগ্রামেরে মত এবং এগুলির আয়ু হয় ৫০ বছরের মত । আমাদের দেশে এই ধরনের কচ্ছপ বিরল প্রজাতির মধ্যেই পড়ে।

Thursday, July 16, 2020

রান্নাঘরে বাঘ, রান্না করতে ঢুকে হতবাক গৃহিনী

দেশ

পশু বসুন্ধরা, ১৬/০৭/২০২০ : রান্নাঘরে রান্না করতে ঢুকেই যে এহেন পরিস্থিতিতে পড়বেন তা ঘুনাক্ষরেও বিঝতে পারেন নি বাড়ির গৃহিনী। রান্নাঘরে হাজির ব্যাঘ্র পরিবারের আর এক গৃহিনী !  
আজ আসামের নওগাঁ জেলার বাঘমারী এলাকার বাগোরি অরণ্যের কাছে একটি বাড়িতে গৃহিনী রান্নাঘরে ঢুকতেই দেখেন রান্না ঘরে টান টান হয়ে শুয়ে আছে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গৃহিণীকে দেখেই বাঘিনী তাঁর দিকে জুল জুল করে তাকিতে থাকে। ভয়ে তখন গৃহিণীর শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। এ যেন সেই সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে ছবির অবিকল দৃশ্য, 'তুমি যে এ ঘরে কে তা জানতো' ! কোনোক্রমে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে আসেন সেই গৃহিনী। এত কিছুর মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন বলেই বোধ হয় রান্নাঘরের দরজা তিনি বন্ধ করে দিতে পেরেছিলেন। যে কারণে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। 
বাঘিনী কোনো উৎপাত না করেই রান্নাঘরে দিব্যি শুয়ে ছিল। সেভাবে কোনো তর্জন গর্জনও করেনি সে।এদিকে এলাকায় রটে যায় 'রান্নাঘরে বাঘ' শব্দ দুটি, আর নিমেষে গ্রামের মানুষ ভীড় জমাতে থাকে সেই বাড়ির আশেপাশে। খবর যায় বন দপ্তরে। বাঘটিকে ভাল করে দেখতে আর তার মতি গতি বুঝতেই বন দপ্তরের লেগে যায় অনেকটা সময়, তারপর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিবাহিত করে বন দপ্তরের কর্মীরা ট্র্যাঙ্কুলাইজ করে বাঘিনীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। 
বন দপ্তর এই বাঘিনিকে উদ্ধার করার পরে উপস্থিত গ্রামবাসী এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাদের কাজে সহযোগিতা করার জন্যে। আপাতত বাঘিনীকে রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কয়েকদিন নিরীক্ষণ করা হবে, যদি তেমন কোনো অসুস্থতা না থাকে, তাহলে তাকে ফের গবীর অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

Saturday, July 11, 2020

কোয়েম্বাটোরের গ্রাম থেকে উদ্ধার ১৫ ফুট লম্বা কিং কোবরা

দেশ

পশু বসুন্ধরা , কোয়েম্বাটোর, তামিলনাড়ু, ১২/০৭/২০২০ : কোয়েম্বাটোরের খুব কাছের একটি অরণ্যের ধার থেকে বনকর্মীরা উদ্ধার করল ১৫ ফুট লম্বা একটি কিং কোবরাকে। সাপটি লোকালয়ের দিকে চলে আসছিল।
তামিলনাড়ুর বন দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, গতকাল কোয়েম্বাটোরের ঠণ্ডামুথুরের নরসিপুরম গ্রাম থেকে খবর আসে, সেখানে বড়সড় একটি সাপ দেখা গিয়েছে, যা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে বন্ দপ্তরের কর্মীরা দ্রুত সেই গ্রামে যান। গিয়ে দেখেন সেটি কিং কোবরা। লম্বায় প্রায় ১৫ ফুট।  এরপর ঘটনাস্থলে বন্ দপ্তরের মধ্যেই যাঁরা সাপ ধারার ব্যাপারে অভিজ্ঞ তাঁরা পৌঁছে যান। কেননা অন্য কোনো সাপ ধরা এবং কিং কোবরা ধরার মধ্যে অনেক পার্থক্য  রয়েছে। কিং কোবরা ধরার জন্যে অনেক সামগ্রীও লাগে। 
এরপর বনদপ্তরের কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টার পর কিং কোবরাকে ধরতে সক্ষম হন। বন্ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিং কোবরাটি  সুস্থ ছিল এবং সাপটিকে পরে শিরোভানি অরণ্যের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জরাদা জগন্নাথ মন্দিরের পিছন থেকে বন্ দপ্তরের  কর্মীরা এবং 'পিপল ফর এনিম্যাল' (PFA) এনজিওর  স্বেচ্ছাসেবীরা একটি কিং কোবরা ধরেছিল, যেটির দৈর্ঘ্য ছিল ১০ ফুট। পরে সেই সাপটিকেও গভীর অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

সৌজন্য : ANI

Wednesday, July 8, 2020

নাগাল্যান্ডে কুকুর খাওয়া নিষিদ্ধ, তবু রাজ্য জুড়ে বিতর্ক

দেশ

পশু বসুন্ধরা,  কোহিমা, নাগাল্যান্ড, ০৮/০৭/২০২০ :  কিছুদিন আগেই নাগাল্যান্ড সরকার কুকুরের মাংস খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গোটা নাগাল্যান্ড রাজ্যে। আজ আবার সেই বিষয় নিয়ে নাগাল্যান্ড জুড়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। 
আমাদের দেশে কুকুরের মাংস অন্য কোনো রাজ্যে খাওয়ার চল না থাকলেও, একমাত্র নাগাল্যান্ডে চালু ছিল, কিছুদিন আগে ৩রা জুলাই, নাগাল্যান্ড সরকার তাদের রাজ্যে কুকুরের মাংস বিক্রি এবং খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী  করেছিল। নাগাল্যান্ডের পশুপ্রেমী মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। নাগাল্যান্ডের মানুষ যাতে কুকুরের মাংস ভক্ষণ থেকে বিরত থাকেন, তার জন্যে অনেক বছর ধরে এই পশুপ্রেমীরা নাগাল্যান্ড জুড়েই প্রচার চালিয়ে বলেছিল, "নাগাল্যান্ডবাসীরা কুকুরের মাংস ছাড়াও থাকতে পারে।"
চীন দেশেও কুকুরের মাংস খাওয়ার চল রয়েছে, এবং সেখানে প্রতিবছর রীতিমত সাতদিন ধরে কুকুরের মাংসের উৎসব চালানো হয়, এই উপলক্ষে প্রতিবছর নিষ্ঠুরভাবে চীনে প্রচুর কুকুরকে হত্যা করা হয়। গোটা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ তথা পশুপ্রেমী চীনের এই মাংস ভক্ষণ প্রবনতার প্রতিবাদ জানায়। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও কুকুর মেরে খেয়ে নেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে, যার কারণে এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল আলিম্পিকে বিশ্বের বহু দেশ অংশগ্রহণ করেনি শুধুমাত্র কুকুরের মাংসের প্রতিবাদে।


নাগাল্যান্ডের পশুপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, "যে প্রাণীটি আমার পরিবারের অংশ হয়ে উঠতে পারে, সেই প্রাণিটিকেই আমরা কিভাবে রান্না করে নিজেদের খাবারের থালায় তুলতে পারি!" কিন্তু নাগাল্যান্ডে বহু মানুষ কুকুর হত্যা এবং কুকুরের মাংস বিক্রয় ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়ে রয়েছেন। নাগাল্যান্ডের বেশ কয়েকটি উপজাতি কুকুরের মাংস খাওয়াকে বেশ ভাল চোখে দেখে। এই সব কারণে নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস বিক্রি করা বা খাওয়া বন্ধের ব্যাপারে বেশ বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ৩ তারিখ থেকে নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস কেনা, বিক্রি বা খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নাগাল্যান্ড সরকার, কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে নাগাল্যান্ড জুড়েই, সরকারের কোনো উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই নিয়ে আর নতুন করে মুখ খুলতে চাইছেন না। 

Saturday, June 27, 2020

শিখরের বাড়িতে নতুন অতিথি, এখন ধাওয়ান পরিবারের সদস্য

দেশ

পশু বসুন্ধরা , নতুন দিল্লী, ভারত, ২৭/০৬/২০২০ : ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর  ধাওয়ানের বাড়িতে দুই নতুন অতিথি এসেছে। সেই দুই অতিথির সাথে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যেই তাদের ছবি শিখর পোস্ট করেছেন নিজের ইনস্ট্রাগ্রামে। 
আসলে শিখর ধাওয়ান দুটি পথ সারমেয়কে দত্তক নিয়েছে, এবং তাদেরকে পরিবারের অংশ করে নিয়েছে। সেই দুই পোষ্যের একজনের নাম চোলে এবং আর একজনের নাম ভ্যালেন্টাইন। দুজনকেই দত্তক পেয়ে খুব খুশি ধাওয়ান পরিবার। তাদের নিয়েই এখন ধাওয়ান পরিবারের কোয়ালিটি টাইম কাটছে। গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এখন কোনো ক্রিকেট খেলা না থাকায় দুই পোষ্যকে পুরোদস্তুর সময় দিচ্ছেন শিখর  ধাওয়ান।
অন্য্ একটি ছবিতে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের সাথে তাঁর ছেলে জোরাভরকেও দেখা যাচ্ছে আর ধবধবে সাদা রঙের দুই সারমেয় পোষ্য অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ক্যামেরার দিকে। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার মিচেল ম্যাকক্লেনাঘ্যান শিখরের এই সারমেয় প্রেম ও পথ কুকুরদের দত্তক নেওয়ার ব্যাপারটিকে প্রশংসা করেছেন। তিনি তাঁর টুইট ছোট্ট করে লিখে দিয়েছেন 'নাইস'।

Monday, June 22, 2020

মুখে আঘাতের ক্ষত নিয়ে প্রাণ গেল আরও এক হাতির

দেশ

পশু বসুন্ধরা, কোয়েম্বাটোর, তামিলনাড়ু, ২২/০৬/২০২০ : কেরালার পর এবার দক্ষিণ ভারতের আর এক রাজ্যে তামিলনাড়ুতে মুখে আঘাতের ক্ষত নিয়ে প্রাণ গেল ১২ বছর বয়স্ক এক হাতির।  
প্রাপ্তবয়স্ক এই হাতিটিকে মুখে ক্ষত নিয়ে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর শহরের বাইরে অনাঙ্কাট্টি পাহাড়ের নিচে জাম্বুগান্ডি গ্রামের কাছে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল কিছুদিন ধরেই। হাতিটির মুখে গভীর ক্ষত  ছিল বলে জানিয়েছেন  স্থানীয় বন দপ্তরের কর্মীরা। বন দপ্তরের কর্মীরা গত দুদিন ধরে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন হাতিটিকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্যে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় নি।  শেষ মেশ হাতিটিকে আর বাঁচানো যায় নি। আমাদের দেশে বন্যজন্তুদের জন্যে আদৌ কি সুচিকিৎসার সঠিক পরিকাঠামো আছে ? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই।
আজ সকালে হাতিটি মারা যায়। কিন্তু কি কারণে হাতিটির মুখে গভীর ক্ষত হয়েছিল, কিসের আঘাতে তার মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল, তা এখনো জানাতে পারে নি বন দপ্তর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পাশের রাজ্য কেরালায় আনারসের ভিতরে বোমা ঢুকিয়ে খাওয়ানোয় এক অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যু হয়েছিল, একই কায়দায় কিছুদিন আগে কেরালাতেই আরও এক হাতির মৃত্যু হয়েছিল। এই দুই হাতির মুখেও ছিল গভীর ক্ষত। 
কোয়েম্বাটোরে অনাঙ্কাট্টি পাহাড়ের নিচে থাকা এই হাতিটির ময়না তদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে, তার পরেই তার মৃত্যুর সঠিক কারন হয়ত জানা যাবে। 

Friday, June 19, 2020

ওড়িশায় উদ্ধার বুলেটবিদ্ধ হাতির মৃতদেহ, উদ্ধার হস্তিশাবক

 দেশের খবর

পশু বসুন্ধরা, বৌধ  শিলিগুড়ি, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ, ১৯/০৬/২০২০ : আজ ওড়িশার মুণ্ডেশ্বর রিজার্ভ  ফরেস্ট থেকে গুলিবিদ্ধ একটি হাতির দেহ উদ্ধার করল বন দপ্তর। অন্যদিকে গতকাল  শিলিগুড়ির কাছে নকশালবাড়ি থেকে একটি হস্তি শাবককে উদ্ধার করেছে বন দপ্তরের কর্মীরা ।  
আজ সকালে ওড়িশার মুণ্ডেশ্বর রিজার্ভ ফরেস্টের অধীনে বৌধ এলাকার মাধপুর অরণ্য  থেকে একটি পূর্ণ  বয়স্ক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন দপ্তরের কর্মীরা। অরণ্যের স্থানীয় কর্মী ও অন্যান্য বাসিন্দারা বন দপ্তরে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দপ্তরের একটি দল;  হাতির দেহে বুলেটের ক্ষতচিহ্ন থাকলেও, তার দেহ থেকে কোনো অঙ্গ বা তার দাঁত খোয়া যায় নি বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। কিভাবে ওই হাতির মৃত্যু হল, তা জানতে হাতিটির দেহ ময়না তদন্তের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির কাছে নক্সালবাড়ি এলাকায় একটি হাতি শাবককে দলছুট হয়ে ঘুরে বেড়াতে  দেখা যায়। শাবকটি নকশালবাড়ি শহরের প্রান্তে ঘোরাঘুরি করছিল। খবর পেয়ে বন দপ্তরের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির সাফারি পার্কে নিয়ে যায়। আপাতত সেখানে রেখেই তার চিকিৎসা করা হবে এবং তার ওপর নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে বন দপ্তর। 
এদিকে গতকাল ডুয়ার্সে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি অরণ্যের বাইরে রাস্তার ধারে নালায় পড়ে  গিয়েছিল। কাদায় আটকে গিয়ে সেই হাতি কিছুতেই উঠতে পারছিল না। শেষমেশ বন দপ্তরের কর্মীরা পে-লোডার দিয়ে ঠেলে তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে চাপরামারির অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Friday, June 12, 2020

পশু নির্যাতন বন্ধে চাই কঠোর আইন : অনুষ্কা শর্মা

দেশ

পশু বসুন্ধরা, মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ১১/০৬/২০২০ : আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন চেয়ে ডিজিটাল ক্যাম্পেন খুলতে এগিয়ে এলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা।
কেরালায় আনারসের মধ্যে করে বোমার আঘাতে অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনীর মৃত্যুর পরেই পশু নির্যাতন নিয়ে ব্যাপকভাবে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা এবং তাঁর স্বামী ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এবার গোটা দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুললেন অনুষ্কা শর্মা। তিনি আবেদন করেছেন, যাতে আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন আরও কঠোর করা হয়।
আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনো কঠোর আইন নেই। অপরাধীদের সেভাবে ধরাও হয় না।পুলিশ অভিযোগ নিতে চায় না। অপরাধী গ্রেপ্তার হলেও সামান্য জরিমানা দিয়ে সেদিনেই মুক্তি লাভ করে। এর ফলে গোটা দেশে পশুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। পুরোন আইনের বদলে নতুন এবং আরও কঠোর আইনের দাবি বহু দিন থেকেই জানিয়ে আসছেন অসংখ্য পশুপ্রেমীরা।
একই দাবি নিয়ে সরব হয়েছিল পশু সংঠন 'আফফা', পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার জন্যে সরব হওয়ার জন্যে 'আফফা'র তরফ  থেকে বিশিষ্ট মানুষদের কাছে টুইট করে আবেদন রাখা হয়েছিল। সেই বিশিষ্টজনদের তালিকায় ছিলেন, নরেন্দ্র মোদী, বাবুল সুপ্রিয়, বিরাট কোহলি, অনুষ্কা শৰ্মা, অমিতাভ বচ্চন এবং মিমি চক্রবর্তী। আজ অনুষ্কা শর্মা একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন এবং দেশের কাছে আরও কঠোর আইনের দাবি তোলেন। অনুষ্কার মত যদি অন্যান্য জনপ্রিয় মুখগুলিও এই দাবি তুলতে শুরু করেন, তাহলে পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন নিয়ে আসতে  খুব দেরি  হবে না। 

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিতা বাঘের মৃত্যু রাজস্থানে

দেশ

পশু বসুন্ধরা, ভিলওয়ারা, রাজস্থান, ১১/০৬/২০২০ :  রাজস্থানের ভিলওয়ারার কাছে আজ একটি চিতা বাঘের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।  চিতাবাঘটি গ্রামের কাছেই চলে এসেছিল। 
চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার রামপুরিয়া গ্রামের কাদেরা এলাকায়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরেই গ্রামের আশেপাশে চিতাবাঘ চলে এসেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তবে আজ সেই চিতাবাঘটিকে অনেকেই গ্রামের কাদেরা এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। চিতা বাঘটি সম্ভবত জলের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সে কারোর কোনো ক্ষতি করেনি। 
আজ সকাল হতেই গ্রামের পথঘাটে মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। তখন চিতাবাঘটি একটি গাছের মাথায় উঠে বসে। সেই গাছের কাছ দিয়েই একটি হাই টেনশন ইলেকট্রিক তার গিয়েছে কাছের বক্সাইট খনিতে। বাঘটি কোনোভাবে বেসামাল হয়ে ওই হাই টেনশন তারের সংস্পর্শে আসতেই বিদ্যুতের আঘাতে ছিটকে পড়ে যায়  নিচে। সঙ্গে সঙ্গেই চিতাবাঘটি মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শিরা।
এর পর ভিলওয়ারা  বন দপ্তরের কর্মীরা এসে চিতাবাঘের দেহ সরিয়ে নিয়ে যায়। মৃত এই চিতাবাঘের দেহ ময়না তদন্ত করে দেখা হবে, মৃত্যুর আগে কোনো মানুষের দ্বারা তাকে অত্যাচারিত হতে হয়েছিল কিনা, সেটা জানার জন্যে।

Wednesday, June 10, 2020

২ সপ্তাহ ধরে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে মুখ আটকানো কুকুর শাবক উদ্ধার কেরালায়

দেশ

পশু বসুন্ধরা, থ্রিসুর, কেরালা, ১১/০৬/২০২০ : কেরালা রাজ্যে পশু নির্যাতন অব্যাহত। এবার কেরালায়  একটি কুকুর শাবকের মুখ দুই সপ্তাহ ধরে টেপ দিয়ে আটকে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল।   
কেরালার থ্রিসুর জেলার ওল্লুরে একটি পশু কল্যাণ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একটি কুকুর শাবককে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে, যার মুখ শক্ত করে টেপ দিয়ে আটকানো ছিল। ঘটনার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কুকুর শাবকের মুখ প্লাস্টিক টেপ দিয়ে শক্ত করে আটকানো ছিল বিগত দুই সপ্তাহ ধরে। এর ফলে সে গত দুই সপ্তাহ ধরে খাবার খেতে পারে নি; এমনকি জল পান করতেও পারেনি। রাস্তা থেকে এই কুকুর শাবকটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পশুপ্রেমীরা জানিয়েছেন, এই শাবকটির মুখ এত শক্ত করে প্লাস্টিক টেপ দিয়ে বাঁধা ছিল যে, সে আর নিজে থেকে খুলতে পারে নি। আর দুই সপ্তাহ ধরে এই প্লাস্টিক টেপ তার মুখের চামড়ার সাথে পুরোপুরি সেঁটে  যায়, যেটা খুলতে গিয়ে বেশ কষ্ট পেতে হয়েছে ওই শাবকটিকে। টেপ খুলে দেওয়ার পর শাবকটি অন্তত দুই লিটার জল পান করেছে। এর পর ওই কুকুর শাবকের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। ওই শাবকটির গলায় একটি কলার পড়ানো ছিল, তাতে মনে হচ্ছে এটি কারোর  পোষা কুকুর ছিল। কুকুর শাবকটি আপাতত ভাল আছে।
কিছুদিন আগেই কেরালায় আনারসের মধ্যে বোমা পুড়ে হাতিকে খেতে দেওয়া হয়েছিল। যে বোমা ফেটে গিয়ে অন্ত্বঃসত্তা  হাতিটির মৃত্যু হয়েছিল। একই কায়দায় কিছুদিন আগে আরও একটি হাতিকে কেরালায় মারা হয়েছিল।  কেরালায় পশু নির্যাতনের ঘটনা বার বার প্রকাশ্যে আসছে। তবু কেরালা সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর আগে একবার কয়েক হাজার পথ কুকুরকে হত্যা করা হয়েছিল ঈশ্বরের আপন দেশ কেরালায়। আমাদের দেশে পশু নির্যাতনের জন্যে কোনো কঠোর আইন না থাকায়, অত্যাচারীরা যেমন সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়, তেমনি পশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাও বেড়ে চলেছে ব্যাপক হারে। 

কুয়ার মধ্যে চিতাবাঘকে উদ্ধার করা হল তিন ঘন্টায়

কুয়ার মধ্যে চিতাবাঘকে উদ্ধার করা হল তিন ঘন্টায়

পশু বসুন্ধরা, ছোট উদেপুর, গুজরাট, ১০/০৬/২০২০ :  আজ সকালে গুজরাটের ছোট উদেপুর গ্রামে একটি কুয়ার মধ্যে একটি চিতাবাঘ পড়ে যায়, দীর্ঘ  প্রচেষ্টার পর সেই চিতাবাঘকে উদ্ধার করেন  গুজরাটের বন দপ্তরের কর্মীরা।
আজ সকালে গ্রামবাসীরা কুয়া থেকে জল তুলতে গিয়ে দেখেন কুয়ার মধ্যে একটি চিতাবাঘ পড়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়েছিল সেই চিতাবাঘটি। ৫০ ফুট গভীর ওই কুয়ার মধ্যে একটি লোহার রডের ওপর সে বসে ছিল। 'কুয়ায় বাঘ পড়েছে' খবরটা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচুর গ্রামবাসী চিতাবাঘ দেখতে হাজির হন। ইতিমধ্যে খবর যায় বন দপ্তরে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বন দপ্তরের কর্মীরা।
কুয়ার ধরে পৌঁছে বন দপ্তরের কর্মীরা একটি মই সিঁড়ি সঙ্গে দড়ি দিয়ে কুয়ায় মধ্যে ঝুলিয়ে দেন। তার আগে কুয়ার ধার থেকে অবশ্য গ্রামবাসীদের ভিড় সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বন দপ্তরের ঝুলিয়ে দেওয়া মই সিঁড়ি বেয়ে স্ত্রী চিতাবাঘটি সাবধানে ওপরে উঠে আসে। কিন্তু তারপর এতটুকু সময় নষ্ট না করে সে ছুটে অরণ্যে ঢুকে যায়। তিন  ঘণ্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে স্ত্রী চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। 

সৌজন্যে : ANI

গির অরণ্যে বেড়েছে সিংহের সংখ্যা

গির অরণ্যে বেড়েছে সিংহের সংখ্যা



পশু বসুন্ধরা, ১০/০৬/২০২০ : আমাদের  দেশে সবথেকে বেশি সংখ্যক সিংহ রয়েছে গুজরাটের গির অরণ্যে. সেখানে বর্তমানে সিংহের  সংখ্যা  বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 
গত  ৫বছরে গুজরাটের গির অরণ্যে এশিয়ান সিংহের সংখ্যা বেড়েছে দেড়শর বেশি বলে জানা গিয়েছে বন মন্ত্রক সূত্রে। পাঁচ বছর আগে ২০১৫ সালে গুজরাটে সিংহের সংখ্যা ছিল ৫২৩, আর এখন ২০২০ সালে সেখানে সিংহের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৭৪. গত পাঁচ বছরে ১৫১টি সিংহ  বেড়ে গিয়েছে সেখানে। অর্থাৎ গুজরাটে শতকরা হিসেবে ২৮% বেড়ে গিয়েছে মোট সিংহের সংখ্যায়। 
এর আগে ২০১৫ সালের মে মাসে গুজরাটে সিংহ শুমারি করা হয়েছিল, আর পাঁচ বছর পরে  এবছরেরও মে মাসে সিংহের শুমারি করা হয়েছে। আর তাতেই এই  তথ্য উঠে এসেছে। প্রতি ৫ বছর অন্তর গুজরাটে সিংহের শুমারি করা হয়, অন্যান্য বারের তুলনায় এই শেষ ৫ বছরে সিংহের সংখ্যায় বৃদ্ধির হার অন্যতম সেরা বলে জানিয়েছেন গুজরাটের চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন। 
গুজরাটের বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিংহের সংখ্যায় এই বৃদ্ধির পিছনে অনেকগুলি কারন রয়েছে যেমন, প্রজনন বৃদ্ধির  পরিকল্পনা, উন্নত  প্রযুক্তির ব্যবহার,  ওয়াইল্ড লাইফ হেলথ কেয়ার, স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা,  শিকার বা আহার্য প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মানুষ-সিংহ সংঘাত হ্রাস করা; এই সব কিছুর ফলস্বরূপ গির অরণ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছে সিংহের সংখ্যা। আমাদের দেশে দীর্ঘমেয়াদি বন্যপশু সংরক্ষণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

Thursday, June 4, 2020

নৃশংসভাবে পশু হত্যা করাটাকে একেবারে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে কেরালার এক শ্রেণীর মানুষ

ভারত

পশু বসুন্ধরা, ০৪/০৬/২০২০ : কেরালার মানাপ্পুরমে নৃশংসভাবে অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনীর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে আজ জানালেন দেশের পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।  সরব হয়েছেন স্মৃতি ইরানীও, বলেছেন, "পশুদের বোমা খাওয়ানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়"। ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন মানেকা গান্ধী। 
কেরালার সাইলেন্ট ভ্যালি থেকে একটি হস্তিনী খাবারের খোঁজে মনপ্পুরম জেলার আট্টাপাড্ডি  গ্রামে চলে এসেছিল। কয়েকজন গ্রামবাসী সেই হস্তিনীকে একটি আনারস খেতে দিয়েছিল। সরল বিশ্বাসে হস্তিনী সেই আনারসটি মুখে পুড়েছিল। কিন্তু গ্রামবাসীরা সেই আনারসের মধ্যে ভরে দিয়েছিল বোমা। সেই বোমা  হস্তিনীর মুখেই ফেটে যায়।রক্তাক্ত হস্তিনী কারোর কোনো ক্ষতি না করে পাশেই বয়ে চলা ভেল্লিয়ার নাদির মাঝ বরাবর গিয়ে তার পেট ও মাথা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, সে বুঝতে পেরেছিল, তার মৃত্য আসন্ন। হস্তিনীর পেটে ছিল ছয় মাসের বাচ্ছা। যাতে বাচ্ছার কোনো ক্ষতি না হয় তাই সে পেট ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অনেক্ষন। বন্ দপ্তরের কর্মীরা চেষ্টা করেও তাকে সেখান থেকে নড়াতে পারে নি। ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই  তার মৃত্যু হয়।
ওই হস্তিনীর দেহ যে ডাক্তার ময়না তদন্ত করেন, গতকাল  সেই পশুচিকিৎসক মোহন কিষান ঘটনার বয়ান দিতে গিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় বয়ে যায় গতকাল। সবাই বলতে থাকেন, "মানুষ কিভাবে এতটা নৃশংস হতে পারে। নিজেদেরকে মানুষ হিসেবে ভাবতেই লজ্জা করছে।" সত্যিই লজ্জায় মাথা হেঁটে হয়ে যায়। গোটা বিশ্ব এখন এই ঘটনার জন্যে ধিক্কার জানাচ্ছে।
কিন্তু কেরালার এই মনপ্পুরম জায়গাটির এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে লজ্জা শরম বিষয়টাই নেই। এরা  এরকমই। কিছুদিন আগে ঠিক এভাবেই একটি হাতিকে  মেরেছিল এখানকার গ্রামবাসীরা বলে জানতে পারা যাচ্ছে। সেই হাতিটিকে অরণ্যের মধ্যে উদ্ভ্রান্তের মত ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। সেই হাতিটিরও চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল, ঠিক যেমন এই হস্তিনীর চোয়ালও ভেঙে গিয়েছিল। সেই হাতিটির শুঁড় ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। বন্ দপ্তরের কর্মীরা অনেক চেষ্টার পরে  বেহুঁশ করে চিকিৎসা শুরু করলেও তাকে আর বাঁচানো যায় নি;
মনপ্পুরমের একশ্রেণীর মানুষ এরকমই। ২০১৬ সালে বিষ খাইয়ে এখানকার মানুষ প্রায় ৪০০টি পথ কুকুরকে হত্যা করেছিল। কোনো শাস্তি তাদের হয় নি। এরা পথে ঘাটে বিষ ছড়িয়ে রাখে পশু পাখিকে মারার জন্যে। অথচ কোনো অজ্ঞাত কারণে এদের কোনো শাস্তি হয় না। এবারেও হয় নি। অন্তত এখনো পর্যন্ত হয় নি। কেরালার বন মন্ত্রী কে রাজু জানিয়েছেন, "একটি হাতি সারা দিনে কয়েক কিলোমিটার ঘুড়ে বেড়ায়, ঠিক কোন জায়গায় কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খুঁজে বের করা খুব মুশকিল।" এই হল কেরালা সরকারের মনোভাব। নৃশংসভাবে পশু হত্যা করাটাকে একেবারে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে কেরালার এক শ্রেণীর মানুষ।
গতকাল ভগবানের আপন দেশ কেরালায় যে বর্বরোচিত হাতি হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তাতে দেশের আপামর সাধারণ মানুষ গর্জে উঠে বলেছে 'অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।, অনেকেই দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন অনেকেই,  অনুষ্কা শর্মা, অক্ষয় কুমার, বরুন ধাওয়ান, জন আব্রাহাম, আলিয়া ভাট, দিশা পাটানি এবং দিয়া মির্জারা দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। অর্জুন কাপুর বলেছেন, "আমরা হেরে গিয়েছি। এই গ্রহটাকে রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এই গ্রহেই অন্যান্য যে সব প্রজাতি আমাদের সাথেই বসবাস করে আমরা তাদেরকে ন্যূনতম শ্রদ্ধাটুকুও করতে পারি নি. কেরালার ঘটনায় আমাকে স্তম্ভিত করেছে।"
আসলে আমাদের দেশে বন্য প্রাণীকে বা অন্যান্য পশুকে হত্যা বা নির্যাতনের জন্যে কোনো কঠোর আইন নেই। আমাদের দেশে তাই পশুরা খুব বেশি সুরক্ষিত নয় বলেই মনে করেন দেশের পশুপ্রেমীরা। যাঁরা আইন প্রণয়ন করেন, তাঁদেরকেও এই ঘটনা বিচলিত করেছে, কিন্তু পশু নির্যাতনের জন্যে একটি কঠোর আইন কি তাঁরা নিয়ে আসবেন ? এটাই এখন বড় প্রশ্ন দেশের পশুপ্রেমীদের। 

Sunday, May 31, 2020

লক ডাউনের দিনগুলোয় নিজের পোষা কুকুরদেরকে রাস্তায় বের করে দিয়েছেন অনেকেই

দেশের খবর

পশু বসুন্ধরা, পুনে, মহারাষ্ট্র, ০১/০৬/২০২০ : কুকুরদের থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না। বার বার এই কথা জানিয়েছে দেশ বিদেশের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেরা। তা সত্ত্বেও অহেতুক ভ্রান্ত ধারণা পোষন করে লক ডাউনের দিনগুলোয় নিজের পোষা কুকুরদেরকে রাস্তায় বের করে দিয়েছেন অনেকেই।
মহারাষ্ট্রের পুনেতে কর্মা ফাউন্ডেশনের প্রিয়া কায়লাডের তেমনটাই অভিজ্ঞতা হয়েছে। কুকুররা করোনা ভাইরাস ছড়ায় না। তাদের থেকে সংক্রমণের কোনো ভয় নেই। এই কথা জোর দিয়েই বলেছেন দেশ বিদেশের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেরা। এই বিষয়ে পশুপ্রেমী মানেকা গান্ধীও একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কিছু কুকুর মালিক ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে লক ডাউনের সময় তাদের পোষ্যকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। খাবার আর পানীয় জল না পেয়ে সেই কুকুরদের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
কর্মা ফাউন্ডেশনের প্রিয়া জানালেন, "আমরা লক ডাউনের সময় এরকম অন্তত ২০টি কুকুরকে উদ্ধার করেছি। তার মধ্যে একটি সেন্ট বার্নাড প্রজাতির কুকুরও ছিল। প্রত্যেকটি কুকুরকেই অবশ্য আমরা এডপ্ট করাতে পেরেছি। তারাও নতুন আশ্রয় এবং পরিবার পেয়েছে। কিন্তু এই কুকুরগুলির শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। আমরা প্রত্যেকটি কুকুরকে চিকিৎসা দিতে পেরেছি।"
প্রিয়া জানালেন, "লক ডাউন চলাকালীন আমরা দেড় লক্ষ কুকুর এবং বিড়ালদের খাবার দিতে পেরেছি। যে সব গরু রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এবং যেগুলি অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকে, তাদের জন্যে আমরা ১১,০০০ কিলো খাবারের আয়োজন করতে পেরেছি। মাথেরন অঞ্চলে বেশ কিছু পরিত্যক্ত ঘোড়া দেখতে পাওয়া যায়, ওদেরকে আমরা মোট ৫,০০০ কিলো খাবার দিতে পেরেছি। ওদেরকে খাওয়ানোর জন্যে আমাদের প্রত্যন্ত গ্রামেও যেতে হয়েছে।"

পথ কুকুরকে খাবার দেওয়ার জন্যে মার, চীনা মহিলার অভিযোগে গ্রেপ্তার আততায়ী

হচ্ছেটা কি
)
পশু বসুন্ধরা , গ্রেটার নয়ডা, উত্তর প্রদেশ, ৩১/০৫/২০২০ : পথ সারমেয়কে খাবার খাওয়ানো নিয়ে বচসা থেকে মারপিট। এক চীনা  মহিলার অভিযোগে আততায়ী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
গ্রেটার নয়ডার বেটা-২ এলাকায় এটিএস গ্রীন প্যারাডাইস সোসাইটি আবাসনে  থাকেন এক চীনা মহিলা। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে এলাকার পথ সারমেয়দের খাবার দেন। মে মাসের ২৫ তারিখেও তিনি খাবার দিচ্ছিলেন কুকুরদের। ওই আবাসনের এক ব্যক্তি কুকুরদের খাবার দেওয়া নিয়ে ওই চীনা মহিলাকে প্রথমে কটূক্তি করলে ওই মহিলা প্রতিবাদ করেন। এরপরেই দুজনের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। এর পর ওই ব্যক্তি চীনা মহিলাকে বেদম প্রহার করেন বলে অভিযোগ।
নিগৃহীত চীনা মহিলা একটুও দেরি না করে পুলিশে অভিযোগ জানান। বিষয়টি পৌঁছে যায় ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (মহিলা সুরক্ষা) বৃন্দা শুক্লার কাছে। তিনি নিজে তদন্ত করে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন। আততায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনেকগুলি ধারায় মামলা করা হয়েছে। চীনা  মহিলার মেডিকেল রিপোর্টেও উল্লেখ রয়েছে ওই ব্যক্তির মারে তিনি  জখম হয়েছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। যে সব পশুপ্রেমীরা পথ সারমেয়দের খাবার খেতে দেন, যাঁরা বিভিন্ন অসুবিধাকেও উপেক্ষা করে লক ডাউনের দিনগুলোতে এক টানা এই পথ সারমেয়াদের খাবার দিয়ে এসেছেন, তাঁদের হামেশাই এই ধরনের আক্রমনের সামনে পড়তে হয়। কখনো হুমকি, কখনো প্রহার আবার কখনো হয়ত নোংরা আক্রমন। তবু কর্তব্যে অবিচল থেকে এই পশু প্রেমীরা দিনের পর দিন শত বাধা অতিক্রম করেও পথ কুকুরদের খাবার দিয়ে চলেছেন বিনা স্বার্থে। 
আসলে আমাদের দেশে এই পথ কুকুরদের ওপর আক্রমন করলে তেমন কোনো কঠোর আইন নেই, যাতে আততায়ী কড়া শাস্তি পেতে পারে। খুব কম অঙ্কের জরিমানা দিয়ে তারা সহজেই জামিন পেয়ে যায়, আর এর ফলেই পথ কুকুরদের ওপর অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। পশুপ্রেমীরা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করে চলেছেন, কিন্তু আইন যাঁরা প্রণয়ন করেন, তাঁদেরকে বোধ হয় এখনো অনুপ্রাণিত করা যায় নি।