Tuesday, March 16, 2021
পাকিস্তানে সিংহ শাবককে নিয়ে বিয়ের ফটোশুট, শাস্তির দাবী
Monday, March 8, 2021
এবার কেরালায় পোষা হাতিদের খাওয়াবে সরকার
পশু বসুন্ধরা, থ্রিসুর , কেরালা, ০৯/০৩/২০২১ : কেরালা সরকারের মনে হয়েছে, রাজ্যে করোনা আবহে গৃহপালিত হাতিগুলি ঠিকমত খাবার পাচ্ছে না। তাই এবার কেরালা সরকার গৃহপালিত হাতিদের খাবার জোগাতে মোট ৫ কোটি টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করেছে।
কেরালা সরকারের রেভিনিউ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ভি বেনু ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ফান্ড থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেরালার গৃহপালিত হাতিদের খাবার দেওয়ার জন্যে। কেরালা সরকার মনে করছে, রাজ্যে করোনা আবহে হাতির মালিকরা তাদের পোষা হাতিদের ঠিকমত খেতে দিতে পারছে না। তাই এই অনুদাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেরালায় অনেক হাতি আছে, যাদেরকে গ্রামের মানুষ পোষেন এবং তাদেরকে ব্যবসার কাজেও লাগানো হয়। এই কেরালা রাজ্য থেকেই এর আগে বন্য হাতিদের ওপর নির্মম অত্যাচারের বহু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
তবে শুধু হাতি বা অন্য কোনো বন্যপ্রাণীই নয়, কেরালায় পথ কুকুরদের ওপরেও নির্মম অত্যাচারের ভুরি ভুরি ঘটনার কথাও প্রকাশ্যে এসেছে বহুবার। এবার সম্ভবত প্রায়শ্চিত্য করতে চলেছে কেরালা সরকার। গৃহপালিত হাতিরা কিছুদিন অন্তত পেট ভরে খেয়ে থাকতে পারবে কেরালায়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কেরালার হাতি মালিকদের সংগঠন। করোনা এবং লক ডাউনের জেরে এই হাতি মালিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে, যে প্রতিদিন তারা পোষ্য হাতিদের খোরাক জোগাড় করে উঠতে পারছিল না।
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট বনশুকরের পরিবার
পশু বসুন্ধরা, নাগপুর, মহারাষ্ট্র, ০৯/০৩/২০২১ : দূরন্ত গতিতে ছুটে এসে একটি বন শূকর পরিবারকেই পিষে দিয়ে চলে গেল একটি খুনে গাড়ি। মা শূকর ছাড়াও ছয় শাবক শুকরের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কাছে অরণ্য লাগোয়া মহাসড়ক বল্লারপুর গোঁরপিঁপড়ী রোড। দিনের বেলাতেই এই সড়ক ধরে উদ্দাম গতিতে ছুটে যায় গাড়িগুলি। রাতের বেলায় সেই গাড়িগুলির গতি বেড়ে যায় আরও কিছুটা। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে অরণ্যপথ পার করছিল বন শুকরের একটি পরিবার। মা শুকরের সাথে ছিল তার ৬ শাবক। কিন্তু রাতের অন্ধকারে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে সাত বন শূকরেরই।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অরণ্য লাগোয়া ওই সড়ক কিছুদিন আগেই কংক্রিটে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে গাড়ির গতিবেগ আরও বেড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় একটি Hit & Run কেস দায়ের করা হয়েছে। বন দপ্তর মনে করছে কোনো ভারী পণ্যবাহী গাড়ি এই পশুদের পিষে দিয়ে চলে গিয়েছে। ওই সড়কের ওপর ২০ মিটার জায়গা জুড়ে বন শুকরদের পিষে যাওয়া থেঁতলানো মৃতদেহগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল, যা দেখে অতি কঠোর মনোভাবাপন্ন মানুষের চোখেও জল চলে আসে; কিন্তু সভ্য জগৎ বরাবরের মত এবারেও চুপচাপ।