Wednesday, July 20, 2022

এক রাত্রেই ৩ কুমীর উদ্ধার ভাদোদরা থেকে

এক রাত্রেই ৩ কুমীর উদ্ধার ভাদোদরা থেকে


পশু বসুন্ধরা, ২০/০৭/২০২২ : গতকাল রাত্রে গুজরাটের ভদোদরা শহরের তিনটি আলাদা জায়গা থেকে  তিনটি কুমীর  উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ঐ  কুমীরগুলিকে তুলে দেওয়া হয়েছে বন দপ্তরের হাতে।

প্রথম ঘটনাটি ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর জাম্বুয়া এলাকায়। সেভ ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্টের স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থল থেকে একটি আট ফুট লম্বা কুমিরকে উদ্ধার করে. ঐ কুমিরটিকে তুলে দেওয়া হয় বন দপ্তরের হাতে। গতকাল রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি আর ট্র্যাফিক জ্যামের মধ্যেই পশুপ্রেমী সংগঠনের কর্মীদের উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে হয়.

দ্বিতীয় ঘটনাটি সায়াজি ব্যাগ এলাকায়।  এখানে গতকাল গভীর রাতে বন্যপ্রাণ প্রেমী হেমন্ত বধওয়ানা একটি কুমীর উদ্ধার করেন, যেটি লম্বায় ৩ ফুট. এই কুমিরটি বিশ্বামিত্রি  নদীর একটি ধারা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নদীর ঐ  ধারা একটি উদ্যানকে স্পর্শ করে গিয়েছে। সেখান থেকেই হেমন্ত ঐ  কুমিরটিকে উদ্ধার করেন এবং বন দপ্তরের হাতে তুলে দেন.

সায়াজি গঞ্জ থেকে গতকাল আরও একটি কুমীর শাবককে উদ্ধার করা হয়েছে। নদী থেকে উঠে ঐ কুমীর শাবক পরশুরাম কলোনীর মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। ঐ  নদীর জল এখন অতি  বৃষ্টির কারণে ১৫ ফুট ওপর দিয়ে বইছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্টের স্বেচ্ছাসেবীরা কুমীর শাবকটিকে উদ্ধার করেন এবং তারপর সেটিকে তুলে দেন বন দপ্তরের হাতে।



Thursday, July 14, 2022

উত্তরাখন্ড অরণ্য অঞ্চলে পশুদের বিষ্ঠায় প্লাস্টিক ও অন্যান্য সামগ্রী !

উত্তরাখন্ড অরণ্য অঞ্চলে পশুদের বিষ্ঠায় প্লাস্টিক ও অন্যান্য সামগ্রী !


পশু বসুন্ধরা, ১৪/০৭/২০২২ : সাধারণ মানুষের প্রিয় ভ্রমন গন্তব্য হল উত্তরাখন্ড। কিন্তু মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত প্লাস্টিক উত্তরাখন্ড রাজ্যের বন্য প্রাণীদের কিভাবে ক্ষতি করছে, তা বোঝা গেল মে মাসের একটি সমীক্ষায়। দেখা গেল ঐ রাজ্যের হাতিদের বিষ্ঠার সাথে পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিক, ক্যারি ব্যাগ এবং প্লাস্টিকের গ্লাস।


সমীক্ষায় উঠে আসা রিপোর্ট বেশ বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ঘন অরণ্য। সেই অরণ্য হয়ে কিংবা অরণ্যের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে সড়কপথ, যে সড়কপথ ধরে মানুষ পৌঁছে যান এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, গাড়িতে করে সেইসব রাস্তা ধরে যেতে গিয়ে প্লাস্টিক, জলের গ্লাস, প্লেট, বাটি  ফেলে দিয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলিতে হয়ত তাঁদের অবশিষ্ট খাবার লেগেও থাকে, যেগুলি হাতি বা অন্য পশুদের আকর্ষণ করছে একটু অন্য রকম স্বাদ পাওয়ার জন্যে। এইসব খাবার চাটতে চাটতে অজান্তেই পশুদের পেটে  চলে যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক। যার কিছুটা হয়ত বেরিয়ে আসছে তাদের বিষ্ঠার মাধ্যমে।


বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞাদের মতে যেটুকু প্লাস্টিক পশুদের বিষ্ঠার  সাথে বাইরে বেরিয়ে আসছে, তার থেকে অনেক বেশি তাদের পেটে  থেকে যাচ্ছে। এই ব্যাপারটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক পশুদের জন্যে। এই পরিমাণ প্লাস্টিক পশুদের পেটে  থেকে যাওয়ার জন্যে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন অরণ্য থেকে হাতিদের বিষ্ঠার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, শুধুই প্লাস্টিক নয়, তাদের বিষ্ঠায় রয়েছে কাগজ, রাবার এবং লোহার মত কঠিন পদার্থের উপস্থিতি, যা কিনা বেশ বিপজ্জনক পশুদের জন্যে। বিশেষ করে পশু শাবকদের জন্যে।

আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেকদিন আগেই। তা সত্বেও এক শ্রেণীর মানুষ নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন এবং অরণ্য অঞ্চলে তা ফেলে দিচ্ছেন। এই বিষয়ে সচেতনতা এবং যথেষ্ট প্রচার দরকার বলে মনে করছেন পশু ও বন বিশেষজ্ঞরা। তা নাহলে ব্যাপক ক্ষতি হবে বন্যপশুদের, ক্ষতি হবে অরণ্যের, ক্ষতি হবে দেশের অরণ্য সম্পদের।