Wednesday, July 29, 2020

বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে খাদ্য সঙ্কটে বন্য পশুরা

 দেশ

পশু বসুন্ধরা, ২৯/০৭/২০২০ : আসামে চলছে ভয়াবহ বন্যা। বন্য পশুরা প্রাণ বাঁচাতে এবং একটু খাবারের আশায় বন্ থেকে বেরিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতে আজ আসামের পবিতরা অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে এসে কাছাকাছি লোকালয়ে ঘুরতে দেখা গেল এক জোড়া গন্ডারকে।
আসামে প্রতি বছর বন্যায় অভয়ারণ্যগুলির বেশিরভাগ জায়গা ডুবে যায়. আর অরণ্যের বন্য পশুরা আশ্রয়ের খোঁজে বন থেকে বেরিয়ে আসে আশ্রয়ের খোঁজে। এই বছর শুধু কাজিৰঙা আড়ানিতেই ১৩২ টি বন্য পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। কাজিরাঙায়া অভয়ারণ্যের বেশিরভাগ জায়গা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। 
আসামের বন্যায় এখনো পর্যন্ত ৫৩০৪ টি গ্রামে মোট ৫৬০১৭০৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন , যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত ১০৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাম্ভপুত্রের জল হু হু করে ঢুকছে কাজিৰঙা অভয়ারণ্যে। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক এখন শুধুমাত্র ছোট গাড়িগুলির জন্যেই খোলা রয়েছে। 


কিছুদিন আগেই পবিতরা অভয়ারণ্যের কাছে ময়ুঙ ও  মোরিগাঁও এলাকায় জনবসতির কাছেই একটি মা গন্ডারকে তার শাবককে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। তারা খাবারের খোঁজে জনবহুল জায়গায় উদ্ভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াচ্ছিল। অরণ্যের মধ্যে এখন একটুও খাবার নেই,  যেখানে আছে সেখানে হয়ত বন্য পশুরা পৌঁছাতেই পারছে না. তাছাড়া এই মুহূর্তে আসামে যে বন্যা পরিস্থিতি চলছে, তাতে করে বন কর্মীরাও বন্য পশুদের খাবার পৌঁছে দিতে পারছে না. যার ফলে বন্য পশুরা খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছে।

Tuesday, July 21, 2020

মুখে বোমা ফেটে নির্মম মৃত্যু একটি গরুর

দেশ

পশু বসুন্ধরা, ২১/০৭/২০২০ : মহীশূর, কর্নাটক, ২১/০৭/২০২০ : কর্নাটকের মহীশূরের কাছে এইচ ডি কোটে নামে একটি জায়গায় একটি গরু ঘাস খেতে  গিয়ে মাঠের ধারে পড়ে  থাকা  একটি বোমা খেয়ে ফেলে। 
বোমাটি গরুটির মুখেই ফেটে যায়;. মারাত্মকভাবে জখম হয় ওই গরুটি। এরপর  পশু চিকিৎসকেরা প্রচুর চেষ্টা করেন  ওই গরুটিকে বাঁচিয়ে তোলার। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে গরুটি মারা যায়। এরপর যার গরু সেই চাষিটি গরুর গায়ে বিষ মাখিয়ে ফেলে রাখে। যাতে ওই গরুর মাংস খেতে এসে এলাকার শুকরগুলি মরে যায়। কাছাকাছি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা জংলী শূকরগুলিকে মেরে ফেলতেই এমন ব্যবস্থা করেছিল অভিযোগ উঠেছে ওই চাষীর বিরুদ্ধে। 
এই ঘটনায় স্থানীয় পশু প্রেমীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন এবং ওই চাষীর শাস্তি চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। আমাদের দেশে বন্য পশু হোক বা গবাদি পশু, সকলেই এক ধরনের বিকৃত মানসিকতার  মানুষের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েই চলেছে। সংবিধানে কোনো কঠোর শাস্তির বিধান নেই বলেই বেড়ে চলেছে এই ধরণের নিষ্ঠুর  অত্যাচারের ঘটনাগুলি। অন্তত আমাদের দেশের পশুপ্রেমীরা সেটাই বলছেন।

Monday, July 20, 2020

ওড়িশার বালাসোর থেকে উদ্ধার হল অতি বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ

দেশ

পশু বসুন্ধরা, বালাসোর, পরীক্ষা, ২০/০৭/২০২০ : স্থানীয় মানুষজনের সহায়তায় এবার ওড়িশার বালাসোর থেকে উদ্ধার করা হল  অতি বিরল প্রজাতির  হলুদ কচ্ছপ।
হলুদ কচ্ছপ বা ইয়েলো  টার্টেলকে দেখতে খুব সুন্দর। এদের শরীরের মাংসল অংশটি হয় হালকা হলুদ রঙের আর পিঠের আচ্ছাদনটি হয় চকচকে হলুদ রঙের। আমেরিকার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ফ্লোরিডা এবং ভার্জিনিয়ার মাঝে এই কচ্ছপকে দেখতে পাওয়া যায়। কেউ কেউ আবার এই হলুদ কচ্ছপকে বাড়িতে পোষ্য হিসেবে রাখে আমেরিকার এই অঞ্চলে। তাবে আমাদের দেশে এই হলুদ কচ্ছপের সংখ্যা খুবই নগন্য। 
আমেরিকায় এই কচ্ছপকে 'ইয়েলো বেলিড স্লাইডার' নামেও ডাকা হয়। ওড়িশার বালাসোরে সোরো এলাকার সুজনপুর গ্রাম থেকে একটি হলুদ কচ্ছপকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে গ্রামবাসীরা সেটিকে দেখতে পেয়ে একটি জায়গায় ঘিরে রাখে। পরে বন দপ্তরের কর্মীরা এসে হলুদ কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বালাসোরের ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন ভানুমিত্র আচার্য বলছিলেন, "এই কচ্ছপটির  গোটা গা সম্পূর্ণ হলুদ রঙের। আমি জীবনে এইরকম কোনো কচ্ছপ কোথাও দেখিনি। আমরা খুঁজে দেখব এই অঞ্চলেই এই ধরনের আর কোনো কচ্ছপ পাওয়া যায় কিনা।"


গত মাসে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার দেউলি ড্যাম এলাকা থেকে মাঝি ও জেলেরা উদ্ধার করেছিল ট্রিনোয়চিদে কচ্ছপ। এটিও বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বলে জানা গিয়েছে। পরে সেটিকে দেউলি ড্যাম এলাকার অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হয়ত এই হলুদ কচ্ছপকেও অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে অথবা ভিতরকনিকা  কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে সংরক্ষণ ও প্রজননের কারণে।
ট্রিনোয়চিদে কচ্ছপ আসলে সফটসেল কচ্ছপের সমগোত্রীয়। এগুলিকে বেশিরভাগ দেখা যায় আফ্রিকা, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার কিছু জায়গায়। এগুলির গড় ওজন হয় ৩০ কিলোগ্রামেরে মত এবং এগুলির আয়ু হয় ৫০ বছরের মত । আমাদের দেশে এই ধরনের কচ্ছপ বিরল প্রজাতির মধ্যেই পড়ে।

Thursday, July 16, 2020

রান্নাঘরে বাঘ, রান্না করতে ঢুকে হতবাক গৃহিনী

দেশ

পশু বসুন্ধরা, ১৬/০৭/২০২০ : রান্নাঘরে রান্না করতে ঢুকেই যে এহেন পরিস্থিতিতে পড়বেন তা ঘুনাক্ষরেও বিঝতে পারেন নি বাড়ির গৃহিনী। রান্নাঘরে হাজির ব্যাঘ্র পরিবারের আর এক গৃহিনী !  
আজ আসামের নওগাঁ জেলার বাঘমারী এলাকার বাগোরি অরণ্যের কাছে একটি বাড়িতে গৃহিনী রান্নাঘরে ঢুকতেই দেখেন রান্না ঘরে টান টান হয়ে শুয়ে আছে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গৃহিণীকে দেখেই বাঘিনী তাঁর দিকে জুল জুল করে তাকিতে থাকে। ভয়ে তখন গৃহিণীর শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। এ যেন সেই সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশে ছবির অবিকল দৃশ্য, 'তুমি যে এ ঘরে কে তা জানতো' ! কোনোক্রমে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে আসেন সেই গৃহিনী। এত কিছুর মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন বলেই বোধ হয় রান্নাঘরের দরজা তিনি বন্ধ করে দিতে পেরেছিলেন। যে কারণে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। 
বাঘিনী কোনো উৎপাত না করেই রান্নাঘরে দিব্যি শুয়ে ছিল। সেভাবে কোনো তর্জন গর্জনও করেনি সে।এদিকে এলাকায় রটে যায় 'রান্নাঘরে বাঘ' শব্দ দুটি, আর নিমেষে গ্রামের মানুষ ভীড় জমাতে থাকে সেই বাড়ির আশেপাশে। খবর যায় বন দপ্তরে। বাঘটিকে ভাল করে দেখতে আর তার মতি গতি বুঝতেই বন দপ্তরের লেগে যায় অনেকটা সময়, তারপর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিবাহিত করে বন দপ্তরের কর্মীরা ট্র্যাঙ্কুলাইজ করে বাঘিনীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। 
বন দপ্তর এই বাঘিনিকে উদ্ধার করার পরে উপস্থিত গ্রামবাসী এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাদের কাজে সহযোগিতা করার জন্যে। আপাতত বাঘিনীকে রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কয়েকদিন নিরীক্ষণ করা হবে, যদি তেমন কোনো অসুস্থতা না থাকে, তাহলে তাকে ফের গবীর অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

Saturday, July 11, 2020

কোয়েম্বাটোরের গ্রাম থেকে উদ্ধার ১৫ ফুট লম্বা কিং কোবরা

দেশ

পশু বসুন্ধরা , কোয়েম্বাটোর, তামিলনাড়ু, ১২/০৭/২০২০ : কোয়েম্বাটোরের খুব কাছের একটি অরণ্যের ধার থেকে বনকর্মীরা উদ্ধার করল ১৫ ফুট লম্বা একটি কিং কোবরাকে। সাপটি লোকালয়ের দিকে চলে আসছিল।
তামিলনাড়ুর বন দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, গতকাল কোয়েম্বাটোরের ঠণ্ডামুথুরের নরসিপুরম গ্রাম থেকে খবর আসে, সেখানে বড়সড় একটি সাপ দেখা গিয়েছে, যা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে বন্ দপ্তরের কর্মীরা দ্রুত সেই গ্রামে যান। গিয়ে দেখেন সেটি কিং কোবরা। লম্বায় প্রায় ১৫ ফুট।  এরপর ঘটনাস্থলে বন্ দপ্তরের মধ্যেই যাঁরা সাপ ধারার ব্যাপারে অভিজ্ঞ তাঁরা পৌঁছে যান। কেননা অন্য কোনো সাপ ধরা এবং কিং কোবরা ধরার মধ্যে অনেক পার্থক্য  রয়েছে। কিং কোবরা ধরার জন্যে অনেক সামগ্রীও লাগে। 
এরপর বনদপ্তরের কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টার পর কিং কোবরাকে ধরতে সক্ষম হন। বন্ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিং কোবরাটি  সুস্থ ছিল এবং সাপটিকে পরে শিরোভানি অরণ্যের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জরাদা জগন্নাথ মন্দিরের পিছন থেকে বন্ দপ্তরের  কর্মীরা এবং 'পিপল ফর এনিম্যাল' (PFA) এনজিওর  স্বেচ্ছাসেবীরা একটি কিং কোবরা ধরেছিল, যেটির দৈর্ঘ্য ছিল ১০ ফুট। পরে সেই সাপটিকেও গভীর অরণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

সৌজন্য : ANI

Wednesday, July 8, 2020

নাগাল্যান্ডে কুকুর খাওয়া নিষিদ্ধ, তবু রাজ্য জুড়ে বিতর্ক

দেশ

পশু বসুন্ধরা,  কোহিমা, নাগাল্যান্ড, ০৮/০৭/২০২০ :  কিছুদিন আগেই নাগাল্যান্ড সরকার কুকুরের মাংস খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গোটা নাগাল্যান্ড রাজ্যে। আজ আবার সেই বিষয় নিয়ে নাগাল্যান্ড জুড়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। 
আমাদের দেশে কুকুরের মাংস অন্য কোনো রাজ্যে খাওয়ার চল না থাকলেও, একমাত্র নাগাল্যান্ডে চালু ছিল, কিছুদিন আগে ৩রা জুলাই, নাগাল্যান্ড সরকার তাদের রাজ্যে কুকুরের মাংস বিক্রি এবং খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী  করেছিল। নাগাল্যান্ডের পশুপ্রেমী মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। নাগাল্যান্ডের মানুষ যাতে কুকুরের মাংস ভক্ষণ থেকে বিরত থাকেন, তার জন্যে অনেক বছর ধরে এই পশুপ্রেমীরা নাগাল্যান্ড জুড়েই প্রচার চালিয়ে বলেছিল, "নাগাল্যান্ডবাসীরা কুকুরের মাংস ছাড়াও থাকতে পারে।"
চীন দেশেও কুকুরের মাংস খাওয়ার চল রয়েছে, এবং সেখানে প্রতিবছর রীতিমত সাতদিন ধরে কুকুরের মাংসের উৎসব চালানো হয়, এই উপলক্ষে প্রতিবছর নিষ্ঠুরভাবে চীনে প্রচুর কুকুরকে হত্যা করা হয়। গোটা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ তথা পশুপ্রেমী চীনের এই মাংস ভক্ষণ প্রবনতার প্রতিবাদ জানায়। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও কুকুর মেরে খেয়ে নেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে, যার কারণে এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল আলিম্পিকে বিশ্বের বহু দেশ অংশগ্রহণ করেনি শুধুমাত্র কুকুরের মাংসের প্রতিবাদে।


নাগাল্যান্ডের পশুপ্রেমীরা জানাচ্ছেন, "যে প্রাণীটি আমার পরিবারের অংশ হয়ে উঠতে পারে, সেই প্রাণিটিকেই আমরা কিভাবে রান্না করে নিজেদের খাবারের থালায় তুলতে পারি!" কিন্তু নাগাল্যান্ডে বহু মানুষ কুকুর হত্যা এবং কুকুরের মাংস বিক্রয় ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়ে রয়েছেন। নাগাল্যান্ডের বেশ কয়েকটি উপজাতি কুকুরের মাংস খাওয়াকে বেশ ভাল চোখে দেখে। এই সব কারণে নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস বিক্রি করা বা খাওয়া বন্ধের ব্যাপারে বেশ বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ৩ তারিখ থেকে নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস কেনা, বিক্রি বা খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নাগাল্যান্ড সরকার, কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে নাগাল্যান্ড জুড়েই, সরকারের কোনো উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই নিয়ে আর নতুন করে মুখ খুলতে চাইছেন না।