Monday, March 7, 2022

মানস অভয়ারণ্যে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বাঘ আর গন্ডারের সংখ্যা

মানস অভয়ারণ্যে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বাঘ আর গন্ডারের সংখ্যা


পশু বসুন্ধরা, গুয়াহাটি, আসাম, 08/03/2022 : আসামের মানস অভয়ারণ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। ঐ অরণ্যে ক্রমেই বাড়ছে গন্ডারের সংখ্যাও। 2021 সুমারি থেকে উঠে আসছে এই তথ্য।

ভুটান লাগোয়া আসামের মানস অভয়ারণ্যে বেড়ে চলেছে বাঘের সংখ্যা, একতা সময় যা কিনা ছিল অতি নগণ্য। কিন্তু এখন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে চলেছে বাঘের সংখ্যা। 2021 সালেই শেষ হয়েছে বাঘ সুমারি। এই মুহূর্তেও বাঘ সুমারি চালানো হচ্ছে, যা শেষ হবে চলতি মাসের শেষে। মানস অভয়ারণ্যের বন্ কর্মীরা বলছেন, বাঘের সংখ্যা বেড়ে যা দাঁড়াবে বলে তাঁরা ভাবছেন, এবার সম্ভবত তার চেয়েও বেশি হবে বাঘের সংখ্যা।


মানস অভয়ারণ্যের ডেপুটি রেঞ্জার বাবুল ব্রম্ভ বলেন, "2010 সালে মানস অভয়ারণ্যে প্রথমবার বাঘ সুমারি করা হয়েছিল। সেই সময় এই অভয়ারণ্যে বাঘের সংখ্যা ছিল মাত্র 10, এর পরের বাঘ সুমারি করা হয়েছিল 2020 সালে। ভাবা গিয়েছিল বাঘের সংখ্যা অন্তত দ্বিগুণ হবে। কিন্তু দেখা গেল বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 30; এর পর ফের 2021 সালে বাঘ সুমারি করা হয়েছে। দেখা গেল বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 48; অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে 18তি ব্যাঘ্র শাবক পেয়েছে মানস অভয়ারণ্য। 2022 সালে বর্তমানে ফের একবার বাঘ সুমারি করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষেই সুমারি শেষ হবে। আমরা আশা করছি মানস অভয়ারণ্যে বাঘের সংখ্যা 60 পেরিয়ে যাবে।"


বাবুল ব্রম্ভ বলেন, "মানস অভয়ারণ্য ভুটানের আন্তর্জাতিক সীমানা ছুঁয়ে আছে। এই অভয়ারণ্যে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ভুটানের কৃতিত্বও। 2003 সালে আমি যখন এই অভয়ারণ্যে প্রথমবার কাজে যোগ দিই, তখন এখানকার অবস্থা ছিল অত্যন্ত খারাপ। কিন্তু এর পর থেকে এই অভয়ারণ্য ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। আগামী 10-12 বছরে মানস অভয়ারণ্য একেবারে স্বমহিমায় ফিরে যাবে বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে।"


মানস অভয়ারণ্যে বাঘের পাশাপাশি গন্ডারের সংখ্যাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি 5-6টি নতুন গন্ডার শাবকের জন্মও হয়েছে এখানে। 2005 সালে আসাম সরকার মানস অভয়ারণ্যে গন্ডার নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেইমত 2006 সালে কাজিরাঙ্গা অরণ্য থেকে একটি ও পরে আরও একটি গন্ডারকে এখানে ছাড়া হয়েছিল। বর্তমানে এই অভয়ারণ্যে গন্ডারের সংখ্যাও যথেষ্ট বেড়ে চলেছে।

No comments:

Post a Comment